তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ এপ্রিল:”কলেজটা পড়াশোনার জায়গা, রাজনীতির জায়গা নয়! আমি চাই, কলেজে রাজনীতি কম, পড়াশোনাটা বেশি হোক। বন্ধুত্ব অটুট থাকুক, মনুষ্যত্ব বেঁচে থাকুক।আমি সেই রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই, যেখানে কেউ অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করলে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবেনা!” বরাবরের মতোই এবারও তিনি সঙ্কীর্ণ-রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের মানবিকতার পরিচয় দিলেন। তিনি ঘাটালের সাংসদ তথা সুপারস্টার দেব ওরফে দীপক অধিকারী। ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনৈতিক সৌজন্যতার পাঠ দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রাখার আবেদন জানান অভিনেতা সাংসদ দেব। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ঘাটালের উন্নয়নে দেব একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক করলেও, ঘাটালের বিধায়ক ডাক না পাওয়ায়, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এনিয়ে, অভিযোগ এনেছেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট স্বয়ং। যদিও, বিজেপি বিধায়ককে মিটিংয়ে ডাকা হয়নি বলে তিনি জানতেন না, এমনটাই দাবি করেছেন দেব। পরবর্তীকালে সমস্ত মিটিংয়ে ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ডাকা উচিত ছিল। পরের বার থেকে ডেকে নেব।”

thebengalpost.net
সাংসদ দীপক অধিকারী:

এদিন, ঘাটালে একগুচ্ছ কর্মসূচীতে যোগ দেন ঘাটাল লোকসভার সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব।শুরুতে ঘাটাল বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে যোগদেন মহকুমাশাসকের দপ্তরে। সেখান থেকে ঘাটালের হরিসিংপুর পার্ক পরিদর্শন করেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে। পার্ক পরিদর্শনের পর ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে একটি বৈঠক করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে, কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ দেবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঘাটাল কলেজে একটি বৈঠকও করেন দেব। কলেজ থেকে বেরিয়ে সাংসদ দেব যান ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে দলীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এদিন ঘাটাল কলেজে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যেতার বার্তা দেন। এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা সাংসদ দেব। তিনি বলেন, “রামপুরহাটের বগটুইতে যা হয়েছে, তা কখনোই হওয়া উচিত নয়। এতে রাজ্যের নাম খারাপ হচ্ছে। ক্ষমতার নেশায় যেন এমন না হয়, যে মানুষ মানুষকে চিনতে না পারে!” রাজ্য জুড়ে বোমা বন্দুক উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে বোমা বন্দুক উদ্ধার করছে, তা একদিকে ভালো। পুলিশ প্রশাসনের আরও শক্ত হওয়া উচিৎ যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। মানুষ না মারা যায়।”