দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৯ জানুয়ারি: স্কুলে ঢোকার মুখে মেন গেটের সামনে এক হাঁটু নর্দমার জল! রেল কোয়ার্টারের নোংরা জল ড্রেন উপচে বইছে স্কুলের মেন গেটের সামনে দিয়ে। সেই জল পেরিয়ে ছোট ছোট পড়ুয়ারা ঢুকতে পারছেনা স্কুলে। প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বারবার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও, কর্ণপাত না করায়, এবার রেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাস্তাতেই চেয়ার-টেবিল পেতে পড়াশোনা শুরু করল খড়্গপুর অন্ধ্রা হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা! এই অভিনব বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সামিল হলেন স্কুলের শিক্ষকরাও। এদিকে এর ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে স্কুলের সামনের ব্যস্ততম রাস্তা! ছাত্র-ছাত্রীদের এই অবরোধে বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়গপুরের মথুরাকাটি রোডের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে এক ইঞ্জিনিয়ারকে স্কুলে পাঠানো হয় রেলের তরফে। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এই প্রতিশ্রুতির পরই অবশ্য অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়ারা।

thebengalpost.net
রাস্তায় বসে পড়েন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা:

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোটেশ্বর রাও জানান, “দীর্ঘদিন ধরে রেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ড্রেনের জল স্কুলের সামনে জমে গিয়েছিল। মেন গেটের সামনে এই নোংরা জল পেরিয়ে পড়ুয়ারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলো না। গত ২০ দিন ধরে পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। অমরা সিনিয়র ডিসিএম-কে পর্যন্ত এই পরিস্থিতির কথা একাধিকবার জানিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়েই পড়ুয়ারা বিক্ষোভে সামিল হয়।” জানা যায় রেল কোয়ার্টারের নোংরা জল বেরোনোর ড্রেন বা নর্দমাগুলি সংস্কার করা তো দূরের কথা, দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করার ফলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, রেলের ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত কুমার আচার্য বলেন, “একটা নতুন কালভার্ট করতে হবে। তবে, তার আগে আপৎকালীন কিছু একটা ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”