দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর: ‘রেলনগরী’ খড়্গপুরের উন্নয়ন নিয়ে তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং খড়্গপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা পৌরসভার চেয়ারপারসন প্রদীপ সরকার। একে অপরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মঙ্গলবার। এদিন সকালে খড়্গপুরের খরিদা বাজারে চায়ে চুমুক দিতে দিতে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করলেন, খড়্গপুর শহরে রেলের তরফে তিনটি ব্রিজ করা হচ্ছে। যা তিনি নিজে দেখভাল করছেন। তা সত্ত্বেও, কাটমানি আর সিন্ডিকেট চালানোর জন্য সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন প্রদীপ সরকার। এমনই অভিযোগ এনে দিলীপ বললেন, “রেলের ব্রিজের কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে। উনি ঠিকাদারদের হুমকি দিচ্ছেন, ওনার কাছ থেকে বালি-পাথর নিতে হবে! নাহলেই কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে পৌরপ্রশাসক প্রদীপ বললেন, “উনি ভুলভাল বকছেন। যদি কাজ কেউ আটকে দিত, তাহলে এই পর্যন্ত কাজ হলো কি করে! নিজেদের আর রেলের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য, অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। খড়্গপুরের ডিআরএম কথা দিয়েছিলেন ব্রিজের কাজ পুজোর আগে হয়ে যাবে, তা হচ্ছে না বলেই দিলীপ ঘোষ উল্টোপাল্টা অভিযোগ করছেন। উনি তো তিন বছরের বিধায়ক ছিলেন আর তিন বছরের সাংসদ আছেন, খড়্গপুরের জন্য কি করেছেন? আর, যে রেলকে দেখিয়ে ওনার পালিত পুত্র হিরণ ভোটে জিতেছিলেন, সেই হিরণ-কে খড়্গপুর বাসী নিজেদের প্রয়োজনে খুঁজে পায়না!” এই উত্তপ্ত বাদানুবাদে, নিম্নচাপের মধ্যেও ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠলো খড়্গপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

thebengalpost.net
দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে :

প্রসঙ্গত, রেলশহর খড়্গপুরে সুভাষপল্লী থেকে বিগবাজার অবধি একটি ওভার ব্রিজের কাজ চলছে। এছাড়াও, খড়্গপুর টাউন থানা এলাকা থেকে রেল হাসপাতাল অবধি পৌঁছনোর জন্য একটি ব্রিজের কাজ চলছে। অন্যদিকে, বোগদা থেকে খড়্গপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম অবধি পৌঁছনোর জন্য একটি ফুট ওভারব্রিজের কাজও চলছে। কিন্তু, সেই কাজ দীর্ঘমেয়াদী হওয়া প্রসঙ্গেই এদিন বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ। যদিও, এই কাজ বিলম্বিত হওয়ার জন্য রেল তথা খড়্গপুর শাখার ডি.আর.এম এর ঘাড়েই দোষ চাপান প্রদীপ। উল্টে তিনি বলেন, “দীলিপবাবু খড়্গপুরের জন্য কিছুই করেননি। আর, একটা বিধায়কের সার্টিফিকেট বা শংসাপত্রের জন্য তাঁর পালিত পুত্র-কে হন্যে হয়ে খুঁজছে হয় খড়্গপুর বাসীকে!” যদিও দিলীপ বলেন, “খড়্গপুর বাসী গুন্ডারাজ-মাফিয়ারাজ-সিন্ডি কেটরাজ থেকে বাঁচতেই এখানকার স্বঘোষিত বেটা-কে ভোটে হারিয়েছেন। আর, এখন পৌরসভার প্রশাসক হয়েও খড়্গপুরের বাবা-মায়েদের জন্য কিছুই করছেন না এই বেটা!”

thebengalpost.net
প্রদীপ সরকার :