দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল:রক্ষকই ভক্ষক? নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার? তদন্ত করবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তবে, তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ‘অভিযুক্ত’ খোদ একজন পুলিশকর্মী! জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত পলশা গ্রামের বাসিন্দা তথা আনন্দপুর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সঞ্জয় পয়রা’র বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ ধর্ষণের (Rape) লিখিত অভিযোগ জানায়, ওই গ্রামেরই এক গৃহবধূ। খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে, সেই সময় অভিযুক্ত সঞ্জয় অন্য জেলায় ডিউটি-তে ছিলেন। তাই, বিভাগীয় নোটিশ ধরানো হলেও, গ্রেফতার করা হয়নি। শুক্রবার তিনি এই জেলায় ফিরলে, জেলা পুলিশের নির্দেশে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ, শনিবার, তাঁকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

thebengalpost.net
গ্রেফতার পুলিশকর্মী :

জানা গেছে, পলশা গ্রামের বাসিন্দা, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী সঞ্জয় পয়রা’র ছেলে ওই গ্রামের এক গৃহবধূর কাছে টিউশন পড়তে যেত। গৃহবধূর সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক-ই ছিল পুলিশ কনস্টেবল সঞ্জয়ের! এরপর, গত ২৪ মার্চ, পারিবারিক একটি বিষয়ে গৃহবধূ সঞ্জয়ের সাহায্য চায়। সেই সাহায্য করার নাম করে, সঞ্জয় তাঁকে বাইরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে গৃহবধূর ‘অভিযোগ’। ২৫ মার্চ খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে সঞ্জয় ও তাঁর পরিবারের তরফে। তাঁরা ওই মহিলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। এদিকে, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই জেলা পুলিশ সঞ্জয়-কে ক্লোজ করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে!

thebengalpost.net
আনন্দপুর থানা :