দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুলাই: মহা-উৎসাহে স্ত্রী-কে সঙ্গে নিয়েই বাসে উঠেছিলেন! সমাবেশ থেকে দিদির বার্তা নিয়ে ফিরছিলেনও আনন্দের সঙ্গেই। তবে, সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হলোনা বান্দোয়ানের (পুরুলিয়ার) তৃণমূল সমর্থক (বা, কর্মী) বিকাশ টুডু’র! শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর গ্রামীণের রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন কৃষ্ণপুর এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বছর ২৮’র বিকাশ। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরো ৫৭ জন। সেই তালিকায় ছিলেন বিকাশের স্ত্রী পার্সী টুডুও। তবে, পার্সী সহ ৩৫ জন শনিবার সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের তরফে। বিকেল নাগাদ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় বিকাশের প্রাণহীন দেহেরও। তারপরই, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর, সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে বিকাশ টুডুর মরদেহ পাঠানো হয় বাড়ির উদ্দেশ্যে।

thebengalpost.net
আহতদের বাসে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়:

তাঁর (বিকাশ টুডু’র) পরিবার-পরিজন সহ সকলেরই ফেরার সুব্যবস্থা করে দেওয়া হয় জেলা তৃণমূলের তরফে। হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়ে যাওয়া ৩৫ জন দলীয় সমর্থকদের জন্যও বাসের ব্যবস্থা করা হয়। সকলকে নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটা-পাঁচটা নাগাদ মেদিনীপুর থেকে বান্দোয়ানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বয়ং রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। গিয়েছিলেন বিধায়ক অজিত মাইতি, মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ অন্যান্যরাও। সন্ধ্যা নাগাদ বান্দোয়ানের সুপুডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধডুংরি-র বাড়িতে বিকাশের দেহ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ের পরিবার-পরিজন থেকে এলাকাবাসী!

এদিকে, শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকেই আহতদের উদ্ধার করা, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সহ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সহ সকলকে বাড়ি পাঠানোর সমস্ত সুব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, চেয়ারম্যান দীনেন রায় সহ অন্যান্যরা। গভীর রাতে হাসপাতালে এসে আহতদের দেখে যান মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়াও। আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা হয় দলের তরফে। আহতদের খাবার-দাওয়ার, পোশাক প্রভৃতিরও ব্যবস্থা করা হয় দলের জেলা নেতৃত্বের তরফে। পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ-প্রশাসন এবং মেদনীপুর পৌরসভার তরফে। দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা শনিবার বিকেলে মেদনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। বিকাশ টুডু’র পরিবারের পাশে আমরা আছি, দল আছে। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহত ৫৭ জনের মধ্যে যে ৩৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন, তাঁদের বাসে করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসেছিলেন বান্দোয়ানের বিধায়কও। যে ২২ জন চিকিৎসাধীন আছেন, সুস্থ হয়ে উঠলে, তাঁদেরও বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।”

thebengalpost.net
বান্দোয়ানে বিকাশ টুডু’র বাড়িতে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত :