দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুলাই: পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি! কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া “উজ্জ্বলা” যোজনার গ্যাস কিনতে চোখে জল আসছে পরিবারের কর্তাদের। আর, গাড়ির জ্বালানি কিনতে গিয়ে জ্বলে যাচ্ছে সারা শরীর। হ্যাঁ, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের দেশ ভারতবর্ষের এটাই এখন প্রকৃত পরিস্থিতি। তাই, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি’র প্রতিবাদে দেশজুড়ে এবং এ রাজ্যেও ধারাবাহিকভাবে চলছে প্রতিবাদ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কোনও কোনও রাজনৈতিক দল আবার কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তবে, মূল আক্রমণ টা কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই। কারণ, পেট্রোপণ্যের উপর থেকে সর্বাধিক রাজস্ব আদায় করে কেন্দ্রই। রবিবার দুপুরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন প্রতিবাদে সামিল হলো খড়্গপুর শহরের সিপিআই জোনাল কমিটির ছাত্র-যুব ও শ্রমিকরা। জঙ্গলমহলের জেলাতেও একশো ছাড়িয়েছে (আজ ১০২) পেট্রোল। প্রতিবাদে পেট্রোল পাম্পের সামনে থাকা বড় বড় হোর্ডিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘হাসিমুখে’ আলকাতারা লেপে দিলেন বাম ছাত্র-যুব-শ্রমিকরা। শুধু তাই নয়, মুখে মোদীর মুখোশ আর গলায় জুতোর মালা পরে গুরুর গাড়ি চালানোর মতো “বেনজির” প্রতিবাদ কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হল এদিন।
উল্লেখ্য, সব ধরনের জ্বালানি সহ পেট্রোলের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সেস কমিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রন সহ পূর্বের দামে প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ হলো জেলার খড়্গপুর শহর, গোপালী বাজার, মেদিনীপুর শহর ও ঘাটাল শহরে। খড়্গপুর শহরে AITUC, AIYF, AISF এর পক্ষ থেকে পেট্রল পাম্পের সামনে থাকা মোদীজীর ছবি’তে আলকাতরা লেপে দেওয়া হয়। এরপর মোদীজী সেজে চালানো হয় গরুর গাড়ি। নেতৃত্বের বক্তব্য, মহামারি ও লকডাউনে রুটি রুজির সংকট। আর সেই সময়ই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে তফাত হচ্ছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে, সবজি থেকে নিত্য সামগ্রির দাম বেড়েই চলছে। উজ্জ্বলা গ্যাস ছেড়ে গ্রামের বধূরা ফিরে যাচ্ছেন মাটির উনুনে! তাই এহেন নাটুকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কালি মাখিয়ে আর ওনাকে দিয়ে গরুর গাড়ি চালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হল। মেদিনীপুর ও ঘাটালেও বামেদের তরফে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়।