দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুন: মা-কে নিয়েই থাকতেন আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) আবাসনে। বুধবার সকালেও মা’কে কিছু বুঝতে দেননি তরুণী চিকিৎসক। তারপর, মা বাজারে গেলে, ফাঁকা বাড়িতে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন IIT Kharagpur- এর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি হাসপাতালের অ্যানাটমি (Anatomy) বিভাগের অধ্যাপিকা চিকিৎসক ডক্টর স্বাগতা ভট্টাচার্য (৩৬)। জানা গেছে, বাজার থেকে ফিরে তাঁর মা রুমের সামনে বারবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু, কোন সাড়া না মেলায়, আবাসনের (কোয়ার্টারের) অন্যান্যদের জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। দ্রুত খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ এসে রুম থেকে স্বাগতা’র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন। ইতিমধ্যে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, ডাঃ স্বাগতা ভট্টাচার্য, সম্পর্কে রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক ড. সৌমেন কুমার মহাপাত্রের ভাগ্নী। স্বাগতা’র বাড়ি তমলুকে বলেই জানা গেছে। বাবা ভবানী ভট্টাচার্য-ও পেশায় একজন চিকিৎসক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকমাস হল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মাস পাঁচেক হল তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলেও জানা গেছে। তাই, মা-কে নিয়ে খড়্গপুরের প্রেমবাজারে আইআইটি’র আবাসনে থাকতেন। সেখানেই, তাঁদের বি.আর- ফ্ল্যাট নং- ৯ থেকে বুধবার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ঘিরে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে খড়্গপুরে। ইতিমধ্যে, হাসপাতালে পৌঁছেছেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় শোকে মুহ্যমান রাজ্যের মন্ত্রী ড. মহাপাত্র জানিয়েছেন, “আমার কাছে অত্যন্ত বেদনার। আমার নিজের ভাগ্নী! বুঝতে পারছিনা কি হয়েছিল! অত্যন্ত প্রতিভাবান চিকিৎসক বা চিকিৎসা শাস্ত্রের অধ্যাপিকা ছিল। এক বছর হল এখানে অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপিকা হিসেবে যোগদান করেছিল। আমার বোনকে নিয়েই থাকত।” তিনি এও জানিয়েছেন, “জানিনা সঠিক কি কারণ! প্রায়-ই আমার সাথে কথা হত। তবে, সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে শুনেছি। সেই কারণে অবসাদ নাকি কর্মস্থলের কোনো বিষয়, না জেনে কিছু বলা সঙ্গত হবেনা!”