দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ডিসেম্বর: “মাসে মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেব, তার বিনিময়ে তোমাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং এটিএম কার্ড আমরা ব্যবহার করব!” গ্রামের হতদরিদ্র ও সাধারণ মানুষ গুলিকে এভাবেই বুঝিয়ে সুঝিয়ে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে জালিয়াতির টাকা ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ! আর, ‘অভিনব’ সেই প্রতারণা-কাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে, ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে গেল হরিয়ানা পুলিশ। সোমবার রাতে দাঁতন থানার তালদা থেকে অনল জানা এবং খণ্ডরুই থেকে যোগীন্দ্রনাথ মাহাল নামে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে হরিয়ানার (রেওয়ারি জেলার) সাইবার থানার পুলিশ। জানা যায়, সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে হরিয়ানার এক কৃষকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ছিল দাঁতনের এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই রেওয়ারি সাইবার থানা সোমবার দাঁতনে পৌঁছে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাদের দাঁতন আদালতে তোলা হলে, ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর হরিয়ানার রেওয়ারি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, এক কৃষকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা গায়ের হয়ে যাওয়ার। সরকার তাঁর জমি অধিগ্রহণ করায়, তিনি ওই টাকা পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপরই, তদন্তে নামেন হরিয়ানার রেওয়ারি থানার সাইবার ক্রাইম অফিসারেরা। তদন্ত করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার তালদা ও খন্ডরুই গ্রামের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ওই টাকা (৪০ লক্ষ) ঢুকেছে! সোমবার রাতে দাঁতন থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হরিয়ানা পুলিশ খন্ডরুই ও তালদা গ্রামে গিয়ে যথাক্রমে যোগীন্দ্রনাথ মাহাল ও অনল জানা নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্যই ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে নেয় হরিয়ানা পুলিশ। এদিকে, বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত, যাঁদের অ্যাকাউন্টে ওই জালিয়াতির টাকা ঢুকেছিল, তাঁরা ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে!