দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ আগস্ট: জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি সড়কপথে ৯ ঘন্টায়! নতুন এই খড়্গপুর-শিলিগুড়ি ‘আর্থিক করিডর’ (Kharagpur Siliguri Corridor)- এর জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষ, পুজোর পর-ই জমি অধিগ্রহণ শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি-ও প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে, ‘ভারতমালা’ প্রকল্পে নতুন এই জাতীয় সড়ক (National Highway) নতুন বছরের প্রথম দিকেই (২০২৩ এর মার্চ মাসে) শুরু হয়ে যাবে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশা। বুধবার নতুন এই জাতীয় সড়ক এবং তার জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে। জেলাশাসক আয়েশা রানী এ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুমন সৌরভ মোহান্তি এই বৈঠকে ছিলেন। প্রসঙ্গত, খড়্গপুর গ্রামীণের চৌরঙ্গী থেকে মোড়গ্রাম (Moregram) এবং মোড়গ্রাম থেকে শিলিগুড়ি অবধি এই জাতীয় সড়ক বা আর্থিক করিডর তৈরি হওয়ার খবর ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেই (১৩ নভেম্বর) বেঙ্গল পোস্টে প্রকাশিত হয়েছিল। জানা গেছে, মোট ৫১৬ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৫৬.৫ কিলোমিটার অংশ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে যাবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চৌরঙ্গীর মোড় থেকে মোটামুটি ৯ কিলোমিটার (কলকাতার দিকে) এগিয়ে গিয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে মেদিনীপুর সদর (মন্দিরময় পাথরা এলাকা), কেশপুর, চন্দ্রকোনা, সমুদ্রগড়, পূর্ব নারায়ণপুর, বর্ধমান, মঙ্গলকোট, কান্দি, মোড়গ্রাম হয়ে শিলিগুড়ির বাগডোগরা পর্যন্ত হবে এই নতুন আর্থিক করিডোর (Economical Corridor) বা জাতীয় সড়ক।
এই জেলার ৫-টি ব্লকের ১১৫-টি মৌজা ছুঁয়ে এই হাইওয়ে যাবে বলে জানা গেছে। ব্লকগুলি হল, যথাক্রমে- খড়্গপুর-২, মেদিনীপুর (সদর), কেশপুর, চন্দ্রকোনা-১ এবং ২। এর মধ্যে খড়্গপুর-২ ব্লকে ৮টি, মেদিনীপুরে (সদরে) ১৩টি, কেশপুরে ৫৮টি, চন্দ্রকোনা ১-এ ১৯টি এবং চন্দ্রকোনা ২-এ ১৭টি মৌজা রয়েছে। সূত্রে খবর অনুযায়ী, সব মিলিয়ে অধিগ্রহণ করতে হতে পারে ৯৩০ থেকে ৯৫০ একর জমি। এর মধ্যে ৮০০ থেকে ৮৫০ একর জমি রায়তি বাকিটা খাস। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করা হতে পারে। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভারতমালা’ প্রকল্পে সারা দেশে ৪৪ টি আর্থিক করিডর তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তার মধ্যে, খড়্গপুর-শিলিগুড়ি আর্থিক করিডর অন্যতম। আপাততো ঠিক হয়েছে, ‘চার লেন’ (ফোর লেন)- এর রাস্তা হবে। প্রস্তাবিত খসড়া অনুযায়ী, এই জাতীয় সড়কে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে যান চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে যে ৬ নং ও ৬০ নং জাতীয় সড়ক গিয়েছে (এছাড়াও, ১৬ নং জাতীয় সড়কের কিছু অংশ-ও গিয়েছে), তাতে ঘুরপথে শিলিগুড়ি যাওয়া যায়। সময় লাগে প্রায় ১৪-১৫ ঘন্টা। নতুন জাতীয় সড়ক হলে, চৌরঙ্গী থেকে মোড়গ্রাম হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে সময় লাগতে পারে ৯-১০ ঘন্টা। ফলে, আরও সহজেই খড়্গপুর ও হলদিয়া শিল্পতালুক সহ দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। একইসঙ্গে, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকেও সহজেই মালবাহী ট্রাক কলকাতা না গিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মার্চ: মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাবালিকার একটি…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মার্চ: নারী দিবসের তিন দিন পরই নতুন বাবা-মা'র…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: রূপসার বয়স তখন মাত্র দু'বছর। মিষ্টি মেয়েটির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৮ মার্চ: একদিকে যখন বামেদের ছাত্র ধর্মঘটে SFI-DSO'র মহিলা কর্মীদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: মেদিনীপুর পৌরসভার তৎপরতায় চলতি সপ্তাহেই শরৎপল্লী পৌর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ মার্চ: নবম জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় (9th National…