দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ এপ্রিল: কম বৃষ্টিপাত ও দুর্বল সেচ ব্যবস্থা যুক্ত এলাকাতেও বিকল্প ও বিজ্ঞানসম্মত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা যায়। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় স্বল্প খরচে এবং পশু-পাখির মলমূত্র বা বর্জ্য পদার্থকেও জৈব সার হিসেবে প্রয়োগ করা যায়। এতে পরিবেশও সুন্দর ও সুস্থ থাকে। এমনই সব সুসংহত ও বৈজ্ঞানিক কৃষি ব্যবস্থা (Farming) সম্পর্কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের প্রত্যন্ত বড়াগড় গ্রামের মহিলাদের বোঝালেন সেঞ্চুরিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। চলতি সপ্তাহের সোমবার ঐশানি চৌধুরী, সৃজা মজুমদার, মাধুরিতা শিট, সোনা চক্রবর্তী প্রমুখ ছাত্রীরা সুসংহত কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি একদিবসীয় কৃষি কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন গ্রামে।কর্মশালাটির মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামের মহিলাদের বিকল্প কৃষি ব্যবস্থার পাঠ দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলা। একইসঙ্গে গ্রামের পুরুষ ও মহিলাদের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত করা এবং তাঁদের উন্নয়নের পথে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দেওয়া।

thebengalpost.net
বিকল্প কৃষি ব্যবস্থা :

কর্মশালাটিতে বোঝানো হয়, কিভাবে সুসংহত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রথাগত ফসল চাষের পাশাপাশি কৃষি খামার (farm house) বা গোয়াল তৈরি করে পশু-পাখি চাষ, পোল্ট্রি, মাছ চাষ, মাশরুম চাষ, মৌমাছি চাষ, ফুলের চাষ প্রভৃতির মাধ্যমে সারা বছর ধরে উপার্জনের রাস্তা তৈরী করা যায়। ছাত্রীরা এও বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো কম বৃষ্টিপাত ও দুর্বল সেচ ব্যবস্থা যুক্ত জায়গাগুলির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি পদ্ধতি। ছাত্রীরা কর্মশালাটিতে এও বলেন, সুসংহত কৃষি ব্যবস্থায় ভিন্ন প্রকার চাষ একসাথে করার দৌলতে, কিভাবে একটি চাষের থেকে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলি অন্য আরেকটি চাষের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং পরিবেশকে অযথা দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। যেমন, পশুপাখির রেচন পদার্থগুলিকে (মল) কম্পোস্ট বা জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার, ফসল তুলে নেওয়ার পর মাঠে থাকা বিচালি বা খড়কে পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। উপস্থিত মহিলারা কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করে অনেক নতুন জিনিস সম্মন্ধে জানতে পেরেছেন বলে জানান। তাঁরা ছাত্রীদের ধন্যবাদও জানান।

thebengalpost.net
ডেবরা’র গ্রামে :