মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুলাই: ১৮ উর্ধ্বদের জন্য সুখবর অবশেষে! সরকারিভাবে বলা হলেও, ভ্যাকসিনের অভাবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও মূলত অগ্রাধিকার গোষ্ঠী (Priority Group)’র ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। তবে, খুব স্বল্পসংখ্যক সাধারণ মানুষ (১৮-৪৪) লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছিলেন। গত এক-দু সপ্তাহে সেটাও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যেই কিছুটা সুখবর এলো! মেদিনীপুর শহরের নামকরা বেসরকারি হাসপাতাল “স্পন্দন” এ ফের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে। বৃহস্পতিবার ২১০ জনকে “কোভিশিল্ড” এর প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই প্রক্রিয়া চলবে বলেও জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদিত বেসরকারি ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র হলো- “স্পন্দন”। প্রথম পর্যায়ে তারা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে সংগ্রহ করে মাসখানেক এই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চালাতে পেরেছিল। সেটা ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস। তারপর ভ্যাকসিনের অভাবে তা চালানো সম্ভব হয়নি! এরপর, গতকাল, ১৫ ই জুলাই থেকে পুনরায় তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে, এবার আর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে নয়, সরাসরি সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন স্পন্দন কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্পন্দনের অন্যতম ডাইরেক্টর পার্থসারথি মন্ডল। তিনি বললেন, “কো-উইন (Co-Win) অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে, অন-স্পট রেজিস্ট্রেশনও হবে, সেটা স্বল্পসংখ্যায়। আমরা প্রতিদিন ৪০০ জনকে দেওয়ার টার্গেট রেখেছি। তবে, প্রথমদিন অতিরিক্ত ভিড় হয়ে যাওয়ার জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মাত্র ২১০ জনকে দেওয়া হয়েছে। হুড়োহুড়ি করার প্রয়োজন নেই, এই মাসের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। এই মাস শেষ হতে হতে, আশা করছি পরের মাসের জন্য ভ্যাকসিন পেয়ে যাব।” আপাতত, শুধুমাত্র কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিনই এসে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।