দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুন: পরকীয়ার অপরাধে এক গৃহবধূকে জুতোর মালা পরিয়ে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়েছিল! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ঘটনায় নিন্দায় উত্তাল হয়েছিলো সারা রাজ্য। রবিবারের ওই ন্যক্কারজনক ঘটনায় আগেই একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল ঘাটাল থানার পুলিশ। সোমবার গৃহবধূর প্রাক্তন স্বামী সহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক একজনকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকীদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন, ঘাটালের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী। তিনি জানান, “গৃহবধূর প্রথম স্বামী সন্তোষ কর’কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে।”

thebengalpost.in
ঘাটাল মহকুমা আদালত :

এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে এখনও আতঙ্ক কাটেনি গৃহবধূর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলো মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি। তবে, ঘটনায় অনুতপ্ত নয় ধৃতরা। রবিবার ঘাটালের প্রতাপপুর গ্রামে পরকীয়ার শাস্তি দিতে, গৃহবধূকে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানো হয়। মহিলার অপরাধ ছিলো, ১৫ বছরের বিবাহিত স্বামীকে ছেড়ে অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা! ওই মহিলার দুই সন্তান আছে বলেও জানা গেছে। রবিবারের ওই ঘটনার কথা জানতে পেরেই তৎক্ষণাৎ পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় ঘাটাল হাসপাতালে। পরে ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের ভূমিকায় খুশি নির্যাতিতা গৃহবধূ। গৃহবধূ বলেন, “ঠিক সময়ে পুলিশ না এলে ওরা আমাকে মেরেই ফেলত। প্রচন্ড মারধোর করেছে।” তিনি এও জানান, “আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া অশান্তি হত। তাই তাকে ছেড়ে বছর দুই আগে একটি ছেলের সঙ্গে চলে গিয়েছিলাম। তাকে বিয়ে করে তার সঙ্গেই সংসার করি। দিন কয়েক আগে গ্রামে ফিরেছি। রবিবার সকালে হঠাৎ গ্রামের কিছু লোক বাড়িতে এসে, ডেকে আমাকে মারধর করতে থাকে। তাঁদের সঙ্গে আমার প্রথম পক্ষের স্বামীও ছিল। মারধরের পর জুতোর মালা পরিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরায়। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”

thebengalpost.in
রবিবারের ঘৃণ্য ঘটনা :