দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ আগস্ট: “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতির সাথে সাথেই তারুণ্য ও ভারসাম্যের উপর জোর দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রেও সেই পন্থাই অনুসরণ করা হয়েছে। কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু’র বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেত্রী কল্পনা সিট-কে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভাপতি করে ভারসাম্য ও তারুণ্যের জয়গান গাইলেন মমতা। মুকুল গোষ্ঠীর শৈবাল গিরি-কে মেদিনীপুরের আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি করে সম্ভবত বার্তা দেওয়া হল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শিবু পানিগ্রাহী, দেবায়ন ঘোষদের। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভাপতি হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্যা তথা গোয়ালডোড়ের বাসিন্দা কাবেরী চ্যাটার্জি। খড়্গপুরের শহর সভাপতি অভিজ্ঞ নেতা দিব্যেন্দু পাল। অপরদিকে, পোড়খাওয়া দীনেন রায়’কে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রেখে, তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সুজয় হাজরা’কে করা হল জেলা সভাপতি।
ঝাড়গ্রামেও ভারসাম্য ও তারুণ্যের মিশেল! জেলা মহিলা সভাপতি করা হল ছত্রধর পত্নী নিয়তি মাহাত’কে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন ছত্রধর। অন্যদিকে, জেলা যুব সভাপতি করা হল, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা’র পুত্র সুরজিৎ হাঁসদা-কে। প্রত্যাশামতোই জেলা সভাপতি হলেন দেবনাথ হাঁসদা। বীরবাহা সরেন টুডু যথারীতি জেলা চেয়ারম্যান থাকলেন। শিক্ষিত, তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মহাশীষ মহাত হলেন ঝাড়গ্রামের আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি। অন্যদিকে, শহর সভাপতি পোড়খাওয়া নেতা প্রশান্ত রায়। পূর্ব মেদিনীপুরেও অভিজ্ঞতা ও ভারসাম্যের ছোঁওয়া! কাঁথি’র জেলা সভাপতি ও যুব সভাপতি যথাক্রমে- তরুণ মাইতি ও সুপ্রকাশ গিরি। তমলুকের জেলা সভাপতি ও যুব সভাপতি যথাক্রমে- দেবপ্রসাদ মন্ডল ও অভিষেক দাস।
***আরও পড়ুন : মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোনীত হলেন সুজয় হাজরা, ঘাটালে আশিস হুদাইত….