দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, বাঁকুড়া, ১৮ জুলাই: বাংলা বানান থেকে শুরু করে অঙ্ক-ইংরেজি সবেতেই ‘ডাহা ফেল’ বাঁকুড়ার ওন্দা থানার চড়ুইকুঁড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই ‘ভাইরাল’ হওয়া শিক্ষক রাজীব কুমার দীক্ষিত-কে অবশেষে ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য হলো বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (Bankura DPSC)। তাঁর পরিবর্তে ওই বিদ্যালয়ে মিঠুন সাঁতরা নামে এক শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, প্রাইমারি ২০১৪ টেট থেকে ২০২১- এর জুলাই মাসে ওই বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হন শিক্ষক রাজীব কুমার দীক্ষিত। তবে, তাঁর যা শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শিক্ষাগত জ্ঞান, তাতে ওই শিক্ষক আদৌও প্রাইমারি টেট পাস করেছেন কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে! বছর ৩৬-এর ওই শিক্ষকের বাংলা-অঙ্ক-ইংরেজি জ্ঞানের ‘দৌড়’ নেট মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে গত ১১ জুলাই থেকে। কারণ, ওইদিনই ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক-অভিভাবিকারা আন্দোলনে নেমেছিলেন ‘মহান শিক্ষক’ রাজীব কুমারের বদলির দাবিতে! আর, সেদিনই নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল ওই শিক্ষকের ‘বিয়োগ’ করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাওয়ার ভিডিও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি সেই বিয়োগ ভুল-ই করেছিলেন! এরপরই, নড়েচড়ে বসে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। তাঁর পরিবর্তে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয় নতুন শিক্ষক।
উল্লেখ্য যে, বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নির্দেশে শনিবার (১৬ জুলাই) বাঁকুড়ার চড়ুইকুঁড় প্রাথমিক স্কুলে যোগ দেন মিঠুন সাঁতরা নামে নতুন ওই শিক্ষক। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির হাওয়া স্কুল এবং ওই গ্রাম জুড়ে। প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার নন্দী বলেন, “গ্রামবাসীরা ওই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক আর স্কুলে আসেননি। তিনি আর এই স্কুলে আসবেন কি না, তা আমার জানা নেই। আজ (শনিবার) মিঠুন সাঁতরা নামের এক জন শিক্ষক স্কুলে যোগ দিয়েছেন। আশা করি, এ বার স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক ভাবে হবে।” চড়ুইকুঁড় গ্রামের বাসিন্দা স্বপন পাল বলেন, “ওই শিক্ষকের পড়ানোর ন্যূনতম যোগ্যতাও ছিল না। তাঁর হাতে আমাদের গ্রামের পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যেত। তাই, ওই শিক্ষককের অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছিলাম আমরা। আজ (শনিবার) নতুন শিক্ষক স্কুলে যোগ দেওয়ায় গ্রামবাসীরা এখন স্বস্তিতে।” প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার ওই স্কুলে ২০২১ সালের জুলাই মাসে সহ শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব কুমার দীক্ষিত। সম্প্রতি, তাঁর ভাইরাল হওয়া শংসাপত্রগুলি থেকে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করা রাজীব কুমার দীক্ষিত ২০০৮ সালে থার্ড ডিভিশনে মাধ্যমিক পাস করেছেন রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে। ২০১০- এ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন ভোকেশনাল বিভাগ থেকে। তারপর অবশ্য ২০১৮ সালে ডি.এল.এড ট্রেনিং করেছেন। কিন্তু, বাংলা-অঙ্ক-ইংরেজি কিছুই না জানা ওই যুবক কিভাবে টেট পাস করলেন আর এই অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা নিয়ে কিভাবেই বা মেধাতালিকায় জায়গা পেলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…