দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৪ সেপ্টেম্বর: একদিকে খুন-ধর্ষণের মামলাতেও গ্রেফতার হলেন আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ভেস্তে গেল ‘অচলাবস্থা’ কাটানোর বৈঠক! লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিও রেকর্ডিং কোনোটাতেই রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকার। শেষ মুহূর্তে ‘সবকিছু’ মেনে নিয়েও কালীঘাট থেকে কার্যত ‘অপমানিত’ হয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেরিয়ে যেতে হয় বলে অভিযোগ! এতে তাঁরা ‘হতাশ’ বলেও বিবৃতি দেন। এর মধ্যেই খবর আসে, সিবিআইয়ের হাতে খুন-ধর্ষণের মামলাতেও গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল-কেও। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার সঙ্গে গ্রেফতারির খবরের কোন ‘সম্পর্ক’ আছে, নাকি পুরোটাই ‘কাকতালীয়’; তা অবশ্য জানা যায়নি!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে আর জি কর কাণ্ডে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এ বার সন্দীপকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করা হল। এরই পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং আর জি কর মেডিক্যালের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেরিতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ উঠেছে। আগেই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তিনি এখন সিবিআই হেফাজতে আছেন। সব মিলিয়ে এই মামলায় গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল তিন (৩)। এদিকে, প্রাক্তন অধ্যক্ষের গ্রেফতারির খবর পৌঁছনোর পরই সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসা জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়!