দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৭ মার্চ: “একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরানোই এখন প্রথম লক্ষ্য। লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায়লগ্নের সূচনা করতে হবে!” বিচারপতির ‘ন্যায়দণ্ড’ আগেই ছেড়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার হাতে তুলে নিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)-র পদ্ম-দণ্ড (পতাকা)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ইনচার্জ মঙ্গল পাণ্ডে-র উপস্থিতিতে বিজেপি-র সল্টলেকের সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘প্রাক্তন’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি-তে স্বাগত জানানো হয়। তার আগে শঙ্খনাদে, পুষ্প-বৃষ্টিতে বরণ করে নেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি-তে যোগদান করবেন। সেই মতো এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে দলের সদর দপ্তরে নিয়ে আসার জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, কাউন্সিলর সজল ঘোষ প্রমুখ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “একটা সর্বভারতীয় দলে যোগদান করতে চলেছি। ভালই লাগছে। খুবই ভাল লাগছে।” এরপর, বিজেপির সদর দপ্তরের বাইরের রাস্তায় হাজার হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা শঙ্খধ্বনি, পুষ্পবৃষ্টিতে প্রাক্তন বিচারপতিকে বরণ করে নেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, মঙ্গল পাণ্ডে-রা তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে গ্রহণ করেন। দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন অভিজিৎ। বলেন, “বাংলাকে দুর্নীতিমুক্ত করাই প্রথম লক্ষ্য। বাংলায় বিজেপি-র আসা খুব দরকার। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল ও সরকারের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করাই আমার প্রথম লক্ষ্য। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের মতই সেই দায়িত্ব পালন করব।” জল্পনা, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন!