দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১ মে: উত্তর ও মধ্য ভারতে দু’টি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। রাজ্য জুড়ে তাই আগামী শুক্রবার (৫ মে) পর্যন্ত বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং শিলা বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গেও ঝড় এবং বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। বুধবার পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়ায়। শুক্রবার অবধি হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে এই সমস্ত জেলায়। কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত।
আজ, সোমবার (১ মে)-ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সকাল থেকে অবশ্য কয়েক পশলা বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়। বিকেলের দিকে আছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের কাছে দু’টি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তার ফলেই রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণাবর্ত ও কালবৈশাখীর প্রভাবে রাজ্যের সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে গেছে। দুই মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে গড় তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহে ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। অন্যদিকে, কৃষকদের আজ, সোমবার থেকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, বজ্রপাতের পূর্বাভাস থাকায় মেঘ করলে বা বৃষ্টি শুরু হলে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঠে থাকা ফসলেরও অতিরিক্ত বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি হতে পারে বলে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।।
এদিকে, ভরা গ্রীষ্মে যেভাবে বর্ষার আমেজ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে, তার নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, দেশবাসী যাকে ‘শীতের ভগীরথ’ হিসাবে চেনে, সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই গ্রীষ্মে ত্রাতার ভূমিকায়! আবহবিদরা বলছেন, ঝঞ্ঝার জন্ম হয় ভূমধ্যসাগরে। বাংলা থেকে অন্তত ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। ভূমধ্যসাগর-জাত ঝঞ্ঝা ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান; তারপর জম্মু-কাশ্মীর হয়ে ভারতে ঢোকে। এরপর হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নেপাল, সিকিম হয়ে সরে যায় অরুণাচল প্রদেশের দিকে। মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় (আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের) অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “বেশ কিছু ঝঞ্ঝা উত্তর হিমালয় হয়ে সরে যায়, সেগুলোর প্রভাব আমরা তেমন একটা পাই না। কিছু ঝঞ্ঝা অনেকটা দক্ষিণ অক্ষাংশে সরে আসে। তখন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের সমতলের একটা বড় অংশ বৃষ্টি পায়। যেমনটা হচ্ছে এখন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…