সমীরণ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ অক্টোবর: ঋতু বৈচিত্র্যে হেমন্ত কাল। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিকের শুরু! তবে, আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, আজ (২৩ অক্টোবর) থেকেই দক্ষিণ পূর্ব মৌসুমি বায়ু পাকাপাকিভাবে বঙ্গ থেকে বিদায় নিল। তাই, নাছোড়বান্দা বর্ষারাণী এবার শরৎ বাবু-কে রীতিমতো ডুবিয়ে দিয়ে, বিদায় নিলেন হেমন্তেও কয়েকদিন জড়াজড়ি-মাখামাখির পর! অন্যদিকে, ভারতবর্ষের জলবায়ু বৈচিত্র্য অনুযায়ী, হৈমন্তী অনুভব এখন নামমাত্র কয়েকদিনের জন্যই। শরৎ এর পরই শীত! তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বঙ্গে এবার শরতের স্পর্শও অনুভূত হয়েছে হাতেগোনা কয়েকদিন। সেই হিসেবে এবার বর্ষার পরই আসতে চলেছে শীত! তবে, জঙ্গলমহলজুড়ে ইতিমধ্যে সে এসে গেছে। অনুভূত হচ্ছে শীত শীত ভাব। ‘শিশিরের শব্দের’ সঙ্গেই সন্ধ্যা নামছে বিকেল সাড়ে পাঁচটাতেই! কুয়াশা ঘেরা মায়াবী ভোর। আর, কাকভোরের কাঁপুনি বলছে, চাদর নয়, এবার লেপ-কাঁথা নামাও! হ্যাঁ, গত ২-৩ দিন ধরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলঘেরা এলাকাগুলিতে ঠিক এভাবেই শীত এসেছে ‘হামাগুড়ি দিয়ে’!
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ থেকে গত সপ্তাহেই বর্ষা বিদায় নিলেও, আজ, শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় নিচ্ছে বর্ষা। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ভারতবর্ষের উত্তর অংশেও। দক্ষিণ পূর্ব মৌসুমি বায়ু পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারতবর্ষ থেকেই এবার বিদায় নিতে শুরু করল! উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবও দিন কয়েকের মধ্যেই অনুভূত হবে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে, শহরের কিছু এলাকাতে দুপুরের দিকে বাতাসে অল্পস্বল্প জলীয় বাষ্পের প্রভাবের কারণে, একটা গুমোট ভাব আছে। যদিও, বিকেলের পর জঙ্গলমহল সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র শীতের শুষ্কতা উপলব্ধ হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা সারা পশ্চিমবঙ্গেই অনুভূত হবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস।