দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ওড়িশার উত্তর উপকূল থেকে উত্তর পশ্চিম উপকূল হয়ে, এই মুহূর্তে ছত্তিশগড়ের পথে অগ্রসর হয়েছে। যাওয়ার পথেই ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাকে। সোমবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা-কাঁথি এলাকায়। বৃষ্টিপাত হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর-খড়্গপুরে। বৃষ্টিতে ভাসছে লালগড় সহ ঝাড়গ্রাম জেলাও। বৃষ্টি দাপট চলছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন অংশেও। এদিকে, ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে ফের একবার কংসাবতী নদীতে জলস্তর বাড়ছে। যদিও, প্রস্তুত আছে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এমনটাই জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।
আবহাওয়া দপ্তরের (মৌসম ভবনের) পূর্বাঞ্চলীয় শাখার তরফে জারি করা ১৪ ই সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ সারাদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ছাড়াও দুই চব্বিশ পরগণা ও হাওড়া-তে ভারী থেকে অতি প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই এলাকাগুলিতে অরেঞ্জ বা কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, দুই বর্ধমান, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এখানে ইয়েলো বা হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আজ সারাদিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আগামীকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, গতকাল থেকে প্রবল বর্ষণে মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে গেছে। মেদিনীপুর শহরের ৮, ৯, ১৬, ১৮, ২০ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা এবং খড়্গপুর শহরের একাধিক ওয়ার্ড ও রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে গেছে। এজন্য, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা-কে দোষারোপ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরে এদিন তিনি মন্তব্য করেছেন, “খড়্গপুরের স্বঘোষিত ব্যাটা কোনও কাজ করছেনা। ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শহর ডুবে যাচ্ছে।” যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে পৌরপ্রশাসক প্রদীপ সরকার মন্তব্য করেছেন, “ওনাদের রেলই তো সব ডুবিয়ে দিচ্ছে। যেটুকু কাজ তো আমরাই করি, করছি, ওনার কাজ নিন্দা করা!”