দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১১ জুন: একদিকে জিনিসপত্রের দাম, অন্যদিকে অসহ্য গরম আর ঘাম! জামাইষষ্ঠীর আগে তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল শ্বশুর থেকে জামাই সকলেরই। অবশেষে তার আগর সন্ধ্যায় কিছুটা ‘সহায়’ হলেন প্রকৃতিদেবী। দিনভর ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা আর অস্বস্তিকর আর্দ্রতা ভোগের পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী, ভাদুতলা, ধর্মা সহ বিভিন্ন এলাকায় নেমে আসে স্বস্তির বারিধারা। কিছু এলাকায় আবার বৃষ্টি না হলেও, শীতল বাতাস প্রাণ জুড়িয়েছে বাসিন্দাদের। সবমিলিয়ে জামাইষষ্ঠীর আগের সন্ধ্যাটা অন্তত স্বস্তি দিয়েছে মেদিনীপুরবাসীকে।

thebengalpost.net
শালবনীতে স্বস্তির বৃষ্টি:

উল্লেখ্য যে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের (৪৩.৩) তুলনায় যা কিছুটা কম। তবে, এদিন বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৮৮.২ শতাংশ। দিনভর এমনই অস্বস্তিকর আবহাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় শালবনী সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায়। জেলা শহরের ধর্মা ও সংলগ্ন এলাকাতেও বৃষ্টি নামে। অন্যদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবারের (১৪ জুন) আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা রানির আগমনের কোনও সম্ভাবনা নেই! দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে পারে শুক্রবারের পরেই। তবে, তার আগেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হবে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। যদিও, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দিনের বেলা তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আবহবিদেরা এত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলের পর দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ বৃষ্টিতে ভিজতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। পাশাপাশি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে শুক্রবার থেকেই। রবিবার পর্যন্ত সেই বৃষ্টি চলবে। বর্ষা আসতে দেরি হচ্ছে কেন দক্ষিণবঙ্গে? এই প্রশ্নের উত্তরে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সোমনাথ দত্ত বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি নেই। দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তা-ও এখন বলা যাচ্ছে না। ১৪ জুনের আগে আমরা বর্ষার আগমন সম্পর্কে কিছু জানাতে পারছি না।’’

thebengalpost.net
মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে ধর্মাতেও নামে বৃষ্টি: