দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল:’চৈত্র দিনে তপ্ত বেলা…।’ খুব স্বাভাবিক। তাই বলে চৈত্র শেষেই ৪০ ছুঁই ছুঁই পারদ? সঙ্গে উত্তপ্ত বায়ু বা লু’র ছেঁকা! একপ্রকার পুড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান সহ পশ্চিমাঞ্চল তথা জঙ্গলমহলের ছয় জেলা। কোথাও ৩৮.৮ ডিগ্রি (মেদিনীপুর) তো কোথাও ৩৯.৬ ডিগ্রি (বাঁকুড়া) সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পাল্লা দিচ্ছে খাস কলকাতাও। সেখানেও ৩৯-৪০ ডিগ্রির আশেপাশে তাপমাত্রা! এই ৭ জেলায় আগামী শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই ৭ জেলায় পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে বলে হাওয়া অফিসের ধারণা। শনিবার-রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়নি। সবমিলিয়ে ১ লা বৈশাখেও তীব্র দাবদাহের মধ্যেই কাটাতে হবে বঙ্গবাসীকে।
আবহাওয়ার দপ্তর জানিয়েছে, শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, তীব্র দাবদাহ চলবে উত্তরের দুই জেলাতেও। সপ্তাহান্তে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। সপ্তাহান্তে জঙ্গলমহল বা পশ্চিমাঞ্চলের ছয়-সাত জেলাতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। পশ্চিমের রাজ্যগুলির মতো বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে শুকনো গরম হাওয়া বইবে। তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। এই গরমে ত্বকে জ্বলুনি ভাব আসতে পারে। লু বওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারপর হয়তো পরিস্থিতি সামান্য বদলাতে পারে!
এই পরিস্থিতিতে, সান স্ট্রোক বা অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে বাঁচতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। বুধবার রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগের তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে গরম থেকে বাঁচতে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রবল রোদ থেকে বাঁচতে দিনের বেলায় সঙ্গে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বাইরে কাজ করেন, তাঁদের দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। শরীরে জলের ঘাটতি যাতে না হয়, তার জন্য বার বার জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট মিশ্রিত পানীয় খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সানস্ট্রোকের সম্ভাবনা এড়াতে সরাসরি রোদ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। রোদে কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছায়ায় এসে বিশ্রাম নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। রোদে বেরিয়ে কারও মাথা ঘুরলে কিংবা বমি পেলে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় বসে জল খাওয়া এবং বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, চা-কফি ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডাব, নুন-চিনি সরবত, লেবু জল, লস্যি, শসা, তরমুজ প্রভৃতি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি রোদ থেকে বাঁচতে রোদ চশমা, টুপি, হালকা সুতির পোশাক ব্যবহার করা উচিত বলে জানানো হয়েছে। খুব অসুস্থ মনে করলে অবশ্যই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…