দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ আগস্ট: বঙ্গোপসাগরের উপর বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ। আর, তার হাত ধরেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে আজ, শুক্রবার-ও বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা এলাকায়। যদিও, সকাল থেকে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর-খড়্গপুর সহ প্রায় সর্বত্রই রোদ-বৃষ্টি’র লুকোচুরি খেলা চলছে। পূর্ব মেদিনীপুর সহ সমুদ্র উপকূলে অবশ্য ঝিরঝিরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। তবে, দুপুরের পর দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। আগামীকাল-ও হালকা বৃষ্টি এবং হাওয়ার দাপট থাকবে দীঘা উপকূলে, এমনটাই জানা গেছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে আগামীকাল পর্যন্ত।

thebengalpost.net
আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা :

এদিকে, এই নিম্নচাপের হাত ধরেই জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া’য় বৃষ্টির খরা কাটুক, এমনটাই প্রার্থনা করছেন আমন ধান চাষিরা। কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, শালবনী, গড়বেতা, গোয়ালতোড় প্রভৃতি এলাকা থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকায় এখনও ধান রুইতে পারেননি অধিকাংশ কৃষক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা জানিয়েছেন, এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। তাই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমার নীচু এলাকাগুলিতে ধান রোপণের কাজ ভালোভাবে হলেও, মেদিনীপুর সদর মহকুমার বহু চাষিই এখনও ধান লাগাতে পারেননি! বিশ্ব উষ্ণায়ন আর এল নিনো’র দাপটে এমনিতেই বর্ষা এবার বড়ো কৃপণ, তাই এরকম নিম্নচাপের প্রভাবেই বৃষ্টির খরা কাটুক, চাইছেন দক্ষিণবঙ্গের তথা জঙ্গলমহলের কৃষকরা।