দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ৮ আগস্ট: গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের দাপটে এখন আর নিম্নচাপ ছাড়া বর্ষাকালেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয় না! চলতি মরশুমে এমনিতেই দক্ষিণবঙ্গে স্বল্প বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। এর পেছনে ‘এল নিনো’ (El Nino)-কে দায়ী করা হয়েছিল। এপ্রিল মাসেই এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল বেঙ্গল পোস্টে। বিশেষজ্ঞদের সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! শ্রাবণ (২২ শ্রাবণ, ৮ আগস্ট) শেষ হতে চললো, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দাপট নেই। ফলে, জঙ্গলমহল সহ দক্ষিণবঙ্গের ধান চাষীরা পড়েছেন চরম সমস্যায়। পাট চাষেরও দফারফা! কৃষি আধিকারিকরাও জানিয়েছেন, বন্যা প্রবণ (বা, নীচু এলাকা) কিছু এলাকা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই অবশেষে ‘নিম্নচাপ’ (Depression/ Low Pressure) বা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হল দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ আরো ঘনীভূত হওয়ার কারণে, আজ, সোমবার, থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা সহ গাঙ্গেয় উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

thebengalpost.net
নিম্নচাপের প্রভাবে গাঙ্গেয় উপকূলে বৃষ্টির সম্ভাবনা:

অপরদিকে, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এবং বুধবার (১০ আগস্ট) দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ উপকূলবর্তী প্রতিটি এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৮ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দীঘা, মান্দারমণিতে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে, বৃষ্টির সময় বা মেঘলা আকাশ থাকলে, কৃষকদের ফাঁকা মাঠে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, বজ্রপাতের হার আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। মাঠে থাকা ফসল বা সবজি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, দক্ষিণবঙ্গের ধান চাষি ও পাট চাষিদের ক্ষেত্রে এই বৃষ্টি আশার আলো নিয়ে আসতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

thebengalpost.net
সতর্কবার্তা: