thebengalpost.net
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা: (ছবি- এস. মন্ডল)

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৩ এপ্রিল: “দারুণ অগ্নিবাণে রে হৃদয় তৃষায় হানে রে….শুষ্ক কাননশাখে ক্লান্ত কপোত ডাকে।” কবির গানে কন্ঠ মেলানো তো দূরের কথা, কন্ঠ একেবারে শুকিয়ে কাঠ! রাজধানী কলকাতাতেই আজ ৪০ ডিগ্রি। আর, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবারই মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ৪১ ডিগ্রি ছাপিয়ে গিয়েছে তাপমাত্রা! অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়েছে বলে জানা গেছে। খাস কলকাতাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম থেকে মালদহ, মুর্শিদাবাদেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪১-৪২’র আশেপাশেই। বইছে মারাত্মক ‘লু’ বা তাপপ্রবাহ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা (orange alert) জারি করেছে ইতিমধ্যে। এই পরিস্থিতিতেই স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে এল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিকাশ ভবনের এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ মে থেকে রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক তথা উচ্চ বিদ্যালয় গুলিতে গরমের ছুটি (Summer Vacation) পড়বে।

thebengalpost.net
ছুটির বিজ্ঞপ্তি:

উল্লেখ্য যে, প্রাথমিকে ১৫ মে থেকে এবং মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ২৪ মে থেকে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল। তবে, তীব্র দাবদাহের কারণে ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তিও ঘোষণা করে দেওয়া হলো রাজ্য সরকারের। তবে, সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি সপ্তাহে এবং আগামী সপ্তাহে লু বা তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের জন্য দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের ‘কমলা সতর্কতা’ (orange alert) জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আগামী সপ্তাহে ছিঁটে ফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, গরম এবং তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকছেই। সেক্ষেত্রে শিশু শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। এদিকে, চলতি সপ্তাহে অর্থাৎ আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে রবিবার পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলিতে ছুটি থাকলেও, সোমবার (১৭ এপ্রিল) থেকে দাবদাহের মধ্যেই স্কুলে যেতে হবে পড়ুয়াদের। কারণ, ছুটি দেওয়া হয়েছে মে মাসের প্রথম থেকে। সেই সময় হয়তোবা কালবৈশাখীর দেখা মিললেও মিলতে পারে বলে হাওয়া অফিসের মত। কিন্তু, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শেষ সপ্তাহ অবধি গরম মোকাবিলা করে স্কুল চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। যদিও, চলতি সপ্তাহ থেকেই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি মর্নিং সেশন বা প্রাতঃবিভাগে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বাদবাকি জেলাতেও মর্নিং সেশনে স্কুল পরিচালিত হবে। অন্যদিকে, স্কুল খোলার পরই অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে।