দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ৯ ডিসেম্বর: “আকাশ ঘিরে মেঘ করেছে…”! না, মেঘ শুধু আকাশ-ঘিরেই নয়, দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন তথা সাধারণ কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন জীবন ঘিরেও। সোমবার অবধি জাওয়াদের দুর্যোগ ভোগ করেছেন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। চরম ভুক্তভোগী পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। ইতিমধ্যে, আলু চাষির আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। প্রায় সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন আলু, ধান, সবজি চাষিরা! আর, এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের মেঘের ঘনঘটা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার সৃষ্টি হয়েছে। এই অক্ষরেখা পরবর্তী কালে নিম্নচাপে বদলে যেতে পারে। এর প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা সহ উপকূলীয় জেলাগুলিতে ফের জলীয় বাতাস ঢুকছে। আজ, বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ! মেদিনীপুর, খড়্গপুর সহ কয়েকটি জায়গাতে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।

thebengalpost.net
ফের নিম্নচাপের আতঙ্কে চাষি ভাইরা :

উল্লেখ্য যে, হাওয়া অফিস জানিয়েছে বাংলাদেশ এবং সন্নিহিত পশ্চিমবঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত ছিল। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকেছে। রাতে তাপমাত্রা তুলনায় কম থাকায় মাটির কাছাকাছি থাকা জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে কুয়াশা তৈরি করেছে। তার উপরে বঙ্গোপসাগরে আবার একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার সৃষ্টি হওয়ায় শীতের সম্ভাবনাও মার খাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য, চলতি সপ্তাহে শীত থিতু হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। বস্তুত, এ বছর উত্তুরে হাওয়ার পথে বার বার কাঁটা বিছিয়েছে বঙ্গোপসাগর। ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্তের ঠেলায় লাগাতার জলীয় বাষ্প ঢুকেছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। সেই জোলো হাওয়াই উত্তুরে বাতাসের সামনে কার্যত পাঁচিল তুলে দিয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বাংলাদেশ এবং সন্নিহিত পশ্চিমবঙ্গের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তটি এ দিন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তবে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার সৃষ্টি হয়েছে। এই অক্ষরেখা পরবর্তী কালে নিম্নচাপে বদলে যেতে পারে। এর প্রভাবেই, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহের শেষ অবধি বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে! ফলে, রীতিমতো আতঙ্কিত চাষিভাইরা। আর, ফসল ও সবজির আরও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ!