দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে:ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘অশনি’ (Asani)। ক্রমশ তা ধেয়ে আসছে উড়িষ্যা (ওড়িশা/Odisha) উপকূলের দিকে। এদিকে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি-তে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুই মেদিনীপুরেও মাঝেমধ্যেই বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র মেঘলা বা ঈষৎ মেঘলা আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সোমবার (৯ মে) রাত্রি আড়াইটা নাগাদ পুরী থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল। ক্রমশ তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে অন্ধ্র উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। তারপর, এটি উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করবে। এখনও পর্যন্ত এই সম্ভাবনার কথাই উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
স্বাভাবিকভাবেই, উড়িষ্যা উপকূলের কাছে অবস্থানকারী পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জেলাগুলিতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যেভাবে ‘অশনি’ রুদ্র মূর্তি ধারণ করছে, তাতে মঙ্গলবার থেকেই তাণ্ডব শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা ও ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ ফের গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর, ‘অশনি’ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়, নাকি ফের শক্তি সঞ্চয় করে, সে দিকেই নজর আবহাওয়াবিদদের। উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় অশনির নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তামিল ভাষায় অশনি শব্দের অর্থ ‘গভীর ক্রোধ’ বা ‘প্রচন্ড ক্ষোভ’। ভারত মহাসাগরের উত্তরের ১৩ টি দেশ এই নামের তালিকা তৈরি করে। ২০২০ সালে এই দেশগুলি মিলিয়ে মোট ১৬৯ টি নামের তালিকা তৈরি করেছে। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সিত্রং’।