thebengalpost.net
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য সি.ভি আনন্দ বোস:

মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ নভেম্বর: জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২-তম সমাবর্তনে (Convocation) যোগ দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল তথা ‘আচার্য’ সি.ভি আনন্দ বোস (C.V. Ananda Bose)। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন আচার্য। তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। এরপর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ২২-তম সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি.ভি আনন্দ বোস। এদিন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৩ জন বিশিষ্ট গবেষকের সাম্মানিক ডি.লিট (ডক্টর অফ লিটারেচর/Doctor of Literature) প্রদান করা হয়। তাঁদর মধ্যে ২ জনই মেদিনীপুরের ‘ভূমিপুত্র’।

thebengalpost.net
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল:

আচার্য বোস তাঁদের (৩ গবেষকের হাতে) হাতে ডি.লিট শংসাপত্র তুলে দেন। এছাড়াও, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মেদিনীপুরের ‘অগ্নিশিশু’ শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর একটি পূর্ণাবায়ব মূর্তিরও উন্মোচন করেন আচার্য সি.ভি আনন্দ বোস। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের বিখ্যাত লোকসংস্কৃতি গবেষক ড. মাসুদ রেজা, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা তথা ‘চৈতন্য জীবনী’ স্রষ্টা ড. প্রণব পট্টনায়েক এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বাসিন্দা তথা বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক ও ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম’-র স্রষ্টা ড. সুকুমার মাইতি-কে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২-তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডি.লিট (Doctor of Literature) প্রদান করা হয়। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পিএইচডি ডিগ্রি বা শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় প্রায় ৪২০ জনের হাতে। তুলে দেওয়া হয় এম.ফিল ডিগ্রিও। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গোল্ড মেডেল।

thebengalpost.net
বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পূর্ণাবায়ব মূর্তি উন্মোচন:

প্রসঙ্গত এও উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের পর ‘অতিমারী পর্ব’ পেরিয়ে ফের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল সমাবর্তন উৎসব। বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত এই ২২-তম সমাবর্তনের মঞ্চ থেকে নিজের রস-সমৃদ্ধ বক্তৃতায় শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন রাজ্যপাল বোস। একদিকে তিনি যেমন ভারতবর্ষের চিরন্তন শিক্ষাব্যবস্থার জয়গান গেয়েছেন, ঠিক তেমনই জাতীয় শিক্ষানীতির স্বপক্ষেও নিজের মত তুলে ধরেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ মনীষীদের উদাহরণ তুলে ধরে পড়ুয়াদের উদ্বুদ্ধও করেছেন। পুঁথিগত শিক্ষার পরিবর্তে প্রায়োগিক তথা সমাজ-বদলের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি.ভি আনন্দ বোস। বেলা ১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়ার আগে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে।”

thebengalpost.net
তিন জন বিশিষ্ট গবেষক-কে ডি.লিট প্রদান করা হল:

thebengalpost.net
ডি.লিট শংসাপত্র তুলে দিলেন রাজ্যপাল: