দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ জুলাই: অবশেষে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করল কলকাতার সিঁথি থানা। কলকাতার টালা এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর মান্না-র লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পিন্টু রানা এবং মণিগ্রীব বাগ নামে দুই প্রতারককে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। ধৃত দুই প্রতারক অভিযোগকারী শুভঙ্কর মান্না এবং তাঁর স্ত্রী-কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) পিএইচডি (PhD) কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে দুই দফায় মোট ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে ওই দম্পতি জানতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিঁথি থানায় ওই দুই প্রতারকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শুভঙ্কর মান্না। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় এবং জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই দুই প্রতারক-কে গ্রেফতার করে কলকাতা থেকে। পিন্টু রানা নামে ধৃত যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। মণিগ্রীব বাগ নামে অপর যুবককে শারীরিক কারণে আপাতত জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতার বাসিন্দা শুভঙ্কর মান্না ও তাঁর স্ত্রী-কে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Vidyasagar University) MBA বা ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি (PhD)’র সুযোগ করিয়ে দেওয়ার নামে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় দুই প্রতারক। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়ো রসিদ ও স্ট্যাম্প ছাপিয়ে তাঁদের একটি রসিদও দেওয়া হয়। শুভঙ্কর মান্না জানান, কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৮ সালে এমবিএ (MBA) করেন তিনি। সেখানে পড়াতেন মণিগ্রীব বাগ নামে এক ব্যক্তি। পাশ করে বেরোনোর পরেও ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। মণিগ্রীবই এক দিন তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন শুভঙ্কর পিএইচডি (PhD) করতে ইচ্ছুক কি না! এর পরই তিনি পিন্টু রানা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে শুভঙ্করকে যোগাযোগ করতে বলেন। শুভঙ্করকে বলা হয়, পিন্টু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। শুভঙ্কর এও বলেন, “মণিগ্রীব স্যার বলায় সন্দেহ হয়নি। স্যারও ওই বিশ্ববিদ্যালয় (বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়) থেকেই পিএইচডি করেছেন বলে জানান। প্রথমে অল্প কিছু টাকা পিন্টুকে পাঠাতে বলা হয়। এর পরে কয়েক দফায় প্রায় ৭০ হাজার টাকা দিই।” এরপর, মণিগ্রীব তাঁকে নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাম্প সহ একটি রসিদ দেন। এরপর, তাঁর স্ত্রী-কেও ম্যানেজমেন্টের একটি সংরক্ষিত আসনে PhD করাতে চান কিনা জানতে চাওয়া হয়! তিনি রাজি হলে ফের ৭০ হাজার টাকা দিতে হয় পিন্টু রানাকে। যদিও, সেই টাকার রসিদ দেওয়া হয়নি। এরপরই, চলতি বছরের (২০২৩) এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে (১২ বা ১৩ এপ্রিল) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এসে তাঁরা (ওই দম্পতি) সত্যিটা জানতে পারেন! তারপরই, সিঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শুভঙ্কর। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কলকাতার একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজের সঙ্গে এই দুই প্রতারক কোনো এক সময় যুক্ত ছিলেন হয়তো। সেখান থেকেই এভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে, এই প্রতারণার বিষয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় দুই প্রতারককে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…