দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুলাই: এবার মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) এক অধ্যাপকের নামে ‘বিতর্কিত‘ পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে! বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১-টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপকের নামে বিস্ফোরক সব ‘অভিযোগ’ সমন্বিত একাধিক পোস্টার নজরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু পড়ুয়াদের। তারপরই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য! যদিও, কে বা কারা ওই পোস্টার সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, পোস্টারের নীচে নিজেদের ‘বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খীবৃন্দ‘ হিসেবে দাবি করা হয়েছে!
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরই একদল পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ক্রীড়াঙ্গন, ক্যান্টিনের আশেপাশে বেশ কিছু বিতর্কিত পোস্টার লক্ষ্য করেন। পোস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা ‘অভিযোগ‘ করা হয়েছে। ওই অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ‘সম্মানজনক‘ পদে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ সহ ছাত্রীদের প্রতি ‘কুৎসিৎ’ আচরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পোস্টারের নীচে নিজেদের ‘বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খীবৃন্দ’ হিসেবে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা! যদিও, এই বিষয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ কোনও আধিকারিকই ‘বিশেষ’ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। উপাচার্য অধ্যাপক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “কোনও অধ্যাপক বা শিক্ষাকর্মীর নামে ‘নির্দিষ্ট’ অভিযোগ থাকলে, নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিতাম বা এই বিষয়ে মন্তব্য করতাম। নাম-পরিচয় গোপন রেখে (বেনামে) এই বিতর্কিত পোস্টার সাঁটিয়েছে কেউ বা কারা। তাঁরা কি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শুভাকাঙ্খী’? যাই হোক, এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন হবেনা!” অপরদিকে, ওই অধ্যাপক বলেন, “আপনারা জানেন আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩০ বছর ধরে অধ্যাপনা করছি। কখনও আমার নামে এই ধরনের অভিযোগ শুনেছেন? যদি, এই ধরনের অভিযোগ আমার নামে থাকত, নিশ্চয়ই গত ৩০ বছরে কখনও না কখনও প্রকাশ্যে আসত!”
তবে কি আপনার প্রতি কোনও ক্ষোভ থেকে কেউ বা কারা এরকম করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে বরিষ্ঠ ওই অধ্যাপক (Professor) বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কারুর ক্ষোভ আছে বলে তো আমিই জানিনা! আমি নিজের ক্লাস আর কাজকর্ম নিয়েই থাকি। আর, আমার ছাত্ররা তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও অত্যন্ত ভাল। তাই কারুর বিরুদ্ধেই আমার কোনও অভিযোগ নেই। এই ধরনের পোস্টার পড়েছে কিনা তাও আমার জানা নেই। আপনাদের মুখেই শুনলাম!” বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, ওই অধ্যাপক সম্প্রতি আদালতে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘সম্মানজনক’ পদ লাভ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সেই সমস্ত বিষয়ের যোগ আছে কিনা, তাও ভাবাচ্ছে কর্তৃপক্ষকে!