দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ মার্চ:”স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল/ দ্বার খোল দ্বার খোল…!” শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের আবেদনে কর্তৃপক্ষ সাড়া দিলেও, দোলের রঙে ক্যাম্পাস কতখানি ‘রঙিন’ হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠিক এমনটাই জানালেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সোমবার থেকে শুক্রবার, টানা ৫ দিন ধরে আন্দোলনের পর, শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বসন্তে উৎসবে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হলেও, ‘বরাদ্দ’ নিয়ে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা! তাঁদের অভিযোগ, গতবারের (২০২২) মতোই সাড়ম্বরে বসন্ত উৎসব পালন করতে গেলে যে খরচ হবে, ফাইনান্স অফিসার তা দিতে রাজি নন। গতবারের দুই তৃতীয়াংশও এবার বরাদ্দ করা হচ্ছে না বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি (২০২৩) থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য-হীন হয়ে পড়েছে। প্রায় দু’মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও, উপাচার্য নিয়োগে উচ্চ শিক্ষা দফতর বা আচার্যের (রাজ্যপালের) তরফে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এবারও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বজায় রেখে বসন্ত উৎসব পালনের আবেদন জানানো হয় পড়ুয়াদের তরফে। কিন্তু, উপাচার্য না থাকায়, প্রথমে আবেদনে সাড়া জানানো হয়নি। এরপরই, টানা ৫ দিন ধরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের (Administration Building) সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয় পড়ুয়াদের তরফে। শুক্রবার বেলা ১ টা থেকে সন্ধ্যা প্রায় ৬ টা পর্যন্ত চলে আন্দোলন। শেষ পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া গেলেও, ‘বরাদ্দ’ নিয়ে ফাইনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, “গতবারের মতো এবারও বসন্ত উৎসবের রীতি-ঐতিহ্য মেনে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহযোগে আমরা উৎসব পালন করার আবেদন জানিয়েছিলাম। টানা ৫ দিন আন্দোলনের পর ফাইনান্স অফিসার যৎসামান্য বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন। ওনার কাছ থেকে আমরা কোনোরকম সহযোগিতা পাইনি। উপাচার্য থাকলে এরকম ঘটনা কখনোই ঘটতো না। বসন্ত উৎসব যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য, তা এফ.ও মানতে চাইছেন না।” এই বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফাইনান্স অফিসার গৌতম পাল জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয় কিনা দেখুন।” এদিন সন্ধ্যায় অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।