দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুলাই: মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালায় সাধারণত অতীতে ব্যবহৃত বস্তু সংগ্রহ তথা সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু, ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও মিউজিয়ামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী চর্চাকেন্দ্র ও মিউজিয়াম (সেন্টার ফর আদিবাসী স্টাডিস অ্যান্ড অ্যাডাল্ট) আয়োজিত ‘বিশেষ বক্তৃতা’-য় এই বিষয়েই আলোকপাত করা হল। বিভিন্ন জনজাতির উন্নয়নে মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালার ভূমিকা কি, সেই বিষয়ে আলোচনা করেন জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Jammu) সেন্টার ফর স্টাডিস ইন মিউজিওলজি-র অধ্যাপক ড. মলয় দে।

thebengalpost.net
বিদ্যাসাগর রচিত আদিবাসী মিউজিয়াম (নিজস্ব চিত্র):

ড. দে ছবি সহযোগে অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে দেখান যে, কিভাবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি মিউজিয়াম অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষার উন্নয়নে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। স্থানীয় হস্তশিল্প, স্থাপত্য, নাচগান, কাহিনি-কিংবদন্তী ও পরিবেশ-সংরক্ষণে মিউজিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। উল্লেখ্য যে, এদিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক দেবীদাস ঘোষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী চর্চাকেন্দ্র ও মিউজিয়ামের অধিকর্তা অধ্যাপক সুমহান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামের নানান কর্মকান্ডের কথা এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেন। অধ্যাপক দেবীদাস ঘোষ তাঁর ভাষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। এই বিষয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তীর উৎসাহ ও ইতিবাচক ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। নৃবিজ্ঞান (Anthropology) বিভাগের অধ্যাপক ড. শোভাঞ্জন সরকার সকলের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

thebengalpost.net
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী চর্চাকেন্দ্র ও মিউজিয়াম (নিজস্ব চিত্র):