মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ অক্টোবর: সম্প্রতি প্রকাশিত (সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ (২ শতাংশ) বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা করে নিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) পদার্থবিদ্যা বিভাগের (Department of Physics) বরিষ্ঠ অধ্যাপক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখার প্রাক্তন অধ্যক্ষ (Dean of Science) অধ্যাপক সত্যজিৎ সাহা (Prof. Satyajit Saha)। উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণামূলক কাজ, উদ্ভাবনী আবিষ্কার তথা এইচ ইনডেক্স, এইচ-এম ইনডেক্স সহ বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ধৃতির ভিত্তিতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রস্তুত করে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার পৃথিবী-বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি (Stanford University)। সেই তালিকাতেই এবার জায়গা করে নিয়েছেন বিজ্ঞানী তথা গবেষক প্রফেসর সত্যজিৎ সাহা (Prof. Satyajit Saha)।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল (Midnapore Collegiate School); সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা (St. Xavier’s college, Kolkata) এবং আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) প্রাক্তনী অধ্যাপক সত্যজিৎ সাহা গত ২৬ বছর ধরে মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সঙ্গে অধ্যাপনা ও গবেষণা করে চলেছেন। পৃথিবী-বিখ্যাত বিভিন্ন জার্নালে তাঁর প্রকাশিত আর্টিকেল বা প্রতিবেদনের (Articles) সংখ্যা শতাধিক। পদার্থবিজ্ঞানী ড. সাহা’র উল্লেখযোগ্য গবেষণা ক্ষেত্রগুলি হল যথাক্রমে- ন্যানো সায়েন্স ও ন্যানো টেকনলজি (Nanoscience and Nanotechnology)-র মাধ্যমে অল্প খরচে অত্যাধুনিক নানা ডিভাইস (যন্ত্রপাতি) গঠন; ন্যানো পার্টিকেলস (Nanoparticles) ব্যবহার করে সোলার সেল বা সৌরকোষ তৈরি; ন্যানো পার্টিকেলস এবং বায়োমলিকিউল (প্রোটিন)-র সংযোগে ড্রাগ ডেলিভারি বা সরাসরি রক্তে ওষুধ প্রয়োগ এবং ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্প খরচে সেমিকন্ডাক্টিং ম্যাটেরিয়ালস তৈরি এবং তার প্রয়োগ।
এই বিষয়ে অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী প্রফেসর সত্যজিৎ সাহা বলেন, “গবেষণার খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলস্বরূপ গবেষণালব্ধ জিনিসপত্রের অর্থাৎ আবিষ্কৃত ডিভাইসগুলির দামও বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য, ন্যানো পার্টিকেলস ব্যবহার করে কম খরচে সেমি কন্ডাক্টিং ম্যাটেরিয়ালস তৈরি করা এবং ডিভাইস তৈরির ক্ষেত্রে সেগুলি প্রয়োগ করা। সেক্ষেত্রে ডিভাইসগুলিরও দাম কমবে।” এছাড়াও, ন্যানো পার্টিকেলস ব্যবহার করে সৌরকোষ তৈরি, ড্রাগ ডেলিভারি ও ক্ষতিকর গ্যাস সনাক্তকরণের উপরও ড. সাহা ও তাঁর গবেষকদল কাজ করে চলেছেন বলে জানান।