মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ সেপ্টেম্বর: চলতি বছরে (২০২৩) ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’- এ সম্মানিত হতে চলেছেন কথাসাহিত্যিক আবুল বাশার, ঝুমুরশিল্পী ও লেখক ললিত মোহন মাহাত এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ও গবেষক ইয়াসিন পাঠান। আগামীকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর, মেদিনীপুরের ‘সিংহ শিশু’ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪-তম জন্মজয়ন্তীতে তাঁদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University) কর্তৃপক্ষের তরফে। সাহিত্য, সংস্কৃতি তথা সমাজ জীবনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় এবার অবিভক্ত মেদিনীপুরের দুই ‘কৃতি সন্তান’ সহ রাজ্য তথা দেশের এই তিন গুণী ব্যক্তিত্বকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) ডঃ জয়ন্ত কিশোর নন্দী। তিনি এও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকানন্দ সভাগৃহের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন যথাক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, কলা বিভাগের অধ্যক্ষ (ডিন) অধ্যাপক তপন কুমার দে এবং বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যক্ষ (ডিন) অধ্যাপক সত্যজিৎ সাহা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মজয়ন্তীতে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রথমবার এই ‘পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই থেকে প্রতি বছরই রাজ্য তথা দেশের গুণী ব্যক্তিত্বদের এই পুরস্কারে সম্মানিত করে চলেছেন। ২০২১ সালে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছিল বিখ্যাত গীতিকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক নলিনী বেরা এবং ঐতিহাসিক অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র, নাট্যকার গৌতম মুখোপাধ্যায়, ভাষা গবেষক জি.এন. দেভি এবং সমাজকর্মী ও প্রাবন্ধিক রোশেনারা খানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগর পুরস্কার। মর্যাদাপূর্ণ বিদ্যাসাগর পুরস্কারে এবার সম্মানিত হতে চলেছেন কথাসাহিত্যিক আবুল বাশার, ঝুমুরশিল্পী ও লেখক ললিত মোহন মাহাত এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ও গবেষক ইয়াসিন পাঠান।
উল্লেখ্য যে, মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা তথা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুল বাশার সাধারণ মানুষের জীবনকে তাঁর সাহিত্যে বিশেষভাবে স্থান দিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষ ভাবনা এবং বামমনস্ক চিন্তা-চেতনার জন্য তিনি রাজ্য ও দেশে সুবিদিত। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামের ‘ভূমিপুত্র’ ললিত মোহন মাহাত একজন বিশিষ্ট ঝুমুরশিল্পী হিসেবে বিখ্যাত। অরণ্য জীবন সম্পর্কে একাধিক সাহিত্য সৃষ্টিও তাঁকে অবিভক্ত মেদিনীপুর তথা সমগ্র রাজ্যে স্মরণীয় করে রেখেছে। ধর্মীয় চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে গত ৫০ বছর ধরে প্রাচীন হিন্দু স্থাপত্য কীর্তির অন্যতম নিদর্শন স্বরূপ পাথরার (মেদিনীপুর শহরের অদূরে) ৩৪-টি মন্দিরকে বুক দিয়ে আগলে রাখা সত্তরোর্ধ্ব ইয়াসিন পাঠান (‘কবীর’ পুরস্কারপ্রাপ্ত) সারা দেশে সম্প্রীতির মূর্ত প্রতীক হিসেবে খ্যাতিমান। মূলত তাঁর উদ্যোগেই ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) ‘মন্দিরময় পাথরা’র ২৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেছিল। পরে ১৯-টি মন্দির সংস্কার হয়। ইয়াসিন আর তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘পাথরা পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ কমিটি’র সুদীর্ঘ লড়াইতেই ‘জমিজট’ কাটিয়ে বাকি ১৫-টি মন্দিরও সংস্কারের মুখ দেখতে চলেছে প্রায় ২০ বছর পর। সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র পাথরা-কে আরও আকর্ষণীয় রূপ দিতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি অপরূপ বিনোদন পার্ক। বেসরকারি উদ্যোগে হয়েছে হোম স্টেও। ‘মন্দিরময় পাথরা’র প্রাণপুরুষ সেই ইয়াসিনও এবার বিদ্যাসাগর পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…