দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ নভেম্বর: লোকসভার আগে আরও গুরুত্ব বাড়লো নিঃসন্দেহে! তৃতীয়বারের জন্য মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হলেন সুজয় হাজরা। চেয়ারম্যান দীনেন রায়। অন্যদিকে, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলাতেও পুনরায় সভাপতি হয়েছেন আশিস হুদাইত। তবে, চেয়ারম্যান হিসেবে এবার সবংয়ের অমল পন্ডার জায়গায় এসেছেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলই। উল্লেখ্য যে, জেলা পরিষদের সদস্য শঙ্কর দোলইয়ের কর্মাধ্যক্ষ মনোনীত হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। তখনই তাঁকে সম্মানজনক পুনর্বাসন বা সাংগঠনিক দায়িত্বে আনার কথা শোনা গিয়েছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের ‘কো-অর্ডিনেটর’ বা ‘আহ্বায়ক’ পদের অবলুপ্তি ঘটানো হল! ২০২২ সাল থেকে এই পদে ছিলেন পিংলার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি।
অপরদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলে এবারও সভাপতি ও চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন যথাক্রমে- বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও বীরবাহা সরেন টুডু। এদিকে, ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে পুনরায় সুজয়ের উপর দায়িত্ব দিয়ে দলের একাংশ বিধায়ক-কে যে স্পষ্ট ‘বার্তা’ দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলাই বাহুল্য! প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশ কয়েকজন বিধায়ক ‘দিদি’ (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়য়)-র কাছে সুজয়ের বিরুদ্ধে নানা অনুযোগ এনেছিলেন। দলের অন্দরে এও কানাঘুঁষো শোনা গিয়েছিল, দলনেত্রী সেই সময় নাকি তাঁর ‘পুরানো দিনের’ কয়েকজন ‘সহকর্মী’ (পড়ুন, অজিত মাইতি সহ কয়েকজন বিধায়ক-কে)-কে আশ্বস্ত করেছিলেন সুজয়-কে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে! তবে, সেই ‘গুড়ে’ যে ‘বালি’, তা অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের ‘নম্বর টু’ (সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অবশ্য তিনিই এখন ‘নম্বর ওয়ান’) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে, সুজয় ঘনিষ্ঠ প্রতিভা মাইতি-কে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা থেকে শুরু করে সদ্য তাঁর (সুজয়ের) ‘প্রিয়পাত্র’ কল্যাণ মহাপাত্র ও গোপাল খাটুয়াকে যথাক্রমে- বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ও তাম্রলিপ্ত স্পিনিং মিলের চেয়ারম্যান পদে বসানোর মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল স্পষ্ট ‘বার্তা’ দিয়েছে। ‘চব্বিশের যুদ্ধে’ মেদিনীপুর লোকসভাতেও যে দলকে এবার (২০২৪) সুজয়ের সেনাপতিত্বেই লড়তে হবে, তা আরও একবার পরিষ্কার করে দেওয়া হল তৃতীয়বারের জন্য (২০২১ এর আগস্ট থেকে) তাঁকেই সভাপতি মনোনীত করার মধ্য দিয়ে। একইসঙ্গে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ‘কো-অর্ডিনেটর’ পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে; দলনেত্রীর ইচ্ছেতে এতদিন এই দায়িত্ব পালন করে আসা অজিত মাইতি-কেও বুঝিয়ে দেওয়া হল, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে এখন ‘অভিষেক’-ই ‘শেষ-কথা’!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…