thebengalpost.net
আন্দোলনে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের (প্রতীকী ছবি) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন:প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বুধবার-ই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কোন এক চন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে! ২০১৭ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (অর্থাৎ, Primary TET 2014) ৮৬ জনের অবৈধ নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। আর, এই বিতর্কের মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। জেলা বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতির পরিবারে (আত্মীয় সহ) দু’টি টেট মিলিয়ে (২০১৪ ও ২০১৭) ৮ জন পাস করেছেন। এর মধ্যে, ২০১৪’র টেট পাস করা ৪ জন ইতিমধ্যে ২০১৭-তেই চাকরিতে যোগদান করছেন। বাকি ৪ জন ২০১৭’র টেট পাস করেছেন, যে নিয়োগ হয়নি! মঙ্গলবার তথ্য সহ এই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে, মেদিনীপুর জেলা বিজেপির তরফে। এ নিয়ে বিজেপি’র প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্য সহ সভাপতি শমিত দাস জানিয়েছেন, “একদিকে রাজ্যজুড়ে যোগ্য ছেলে মেয়েরা টেট পাস করে চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। আর, কোন এক অদ্ভুত রহস্যবলে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে ৮-১০ জন করে চাকরি পাচ্ছেন। এ নিয়ে আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। প্রয়োজনে হাইকোর্টের হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দেওয়া হবে।”

thebengalpost.net
আন্দোলনে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের (প্রতীকী ছবি) :

উল্লেখ্য যে, অভিযোগ ওই ব্লক যুব সভাপতির দিদি, কাকুর দুই ছেলে ও বৌমা ইতিমধ্যে চাকরি করছেন। পরবর্তী সময়ে, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাগ্না ও ভাগ্নার স্ত্রী-ও টেট পাস করে চাকরির অপেক্ষা করছেন! বিষয়টিকে ব্যঙ্গ করে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেছেন, “যত মেধাবী ওই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বাড়িতেই। তিনি আবার এক জেলা নেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তবে, শুধু উনি নন, অন্য জেলার কথা ছেড়ে দিলাম, এই জেলাতেই বহু তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে বাড়িতে একাধিকজন চাকরি করছেন। প্রকৃত মেধা বঞ্চিত হচ্ছে, আর চরম স্বজনপোষণ হচ্ছে এভাবেই। ধিক্কার জানাই আমরা।” যদিও, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “নিয়ম মেনেই প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে। যদি কোথাও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে বিচার হবে। এ নিয়ে বলার কিছু নেই। আর, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি-রও কুৎসা রটানোর কিছু নেই। ওদের দলেই তো দাদার অনুগামীরা আছেন। তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন, গত কয়েক বছরে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে কিভাবে ওঁদের সেই ‘দাদা’ চাকরির লিস্ট তৈরি করতেন! তৃণমূলের কেউ এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়।”