দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মার্চ:হোলির দ্বিতীয় দিনে দুঃখ নেমে এলো মেদিনীপুরে! শনিবার দিনভর রং খেলার পর, বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল শহরের এক যুবক। ত্রিলোচন গুইন নামে বছর ২১ এর যুবক মেদিনীপুর শহরের গান্ধী ঘাটে, কংসাবতী নদীতে স্নান করতে নেমেছিল শনিবার দুপুরের পর। সেখানেই তলিয়ে যায় ওই যুবক। এরপর, বন্ধুবান্ধব ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও না পেলে, খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। তারা উদ্ধার কাজ চালানোর সময়, যুবকেরই এক বন্ধু ত্রিলোচনকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধার করতে গিয়ে ওই বন্ধুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। দু’জনকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ত্রিলোচন-কে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে, তার বন্ধু সুস্থ আছে। মৃত ত্রিলোচনের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের নতুনবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, শনিবার সকাল থেকে দোল খেলার পর বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ত্রিলোচন মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে থাকা কংসাবতী নদীর গান্ধী ঘাটে গিয়েছিল স্নান করার জন্য। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে স্নান করতে নেমেছিল সে। স্নান করার পরে সকলে নদী থেকে উঠলেও ত্রিলোচনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন্ধু বান্ধবরা খোঁজার সাথে সাথে পুলিশে খবর দেয়। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর ডুবুরি সহ একটি দল খোঁজা শুরু করে তাদের। বেশ কিছুক্ষণ পর জলের তলা থেকে নিখোঁজ ত্রিলোচন এর দেহ উদ্ধার হয়। তারই এক বন্ধু ত্রিলোচন-কে খুঁজে পায়। এরপর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে তাকে উদ্ধারের সময় ত্রিলোচন এর যে বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তাকেও ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সুস্থ আছে সে। ঘটনার পর মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “এই এলাকায় বোর্ড দেওয়া রয়েছে নিষেধাজ্ঞার জন্য। বারবার বারণ করা হচ্ছে নদীর জলে স্নান করতে না নামার জন্য। পুলিশের নজরদারি থাকে। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে অনেকে স্নান করতে নামছেন। তাতেই এই বিপদ ঘটে গেল!”