দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ সেপ্টেম্বর: রাতভর প্রবল বর্ষণে ঘটে গেলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার জঙ্গল অধ্যুষিত বুড়িশোল গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশু কন্যার। আহত হয়েছেন তার অন্তঃসত্ত্বা মা। তবে, পায়ের উপরেই আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন বাবা-ও, তিনিও স্থিতিশীল। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকে মুহ্যমান সকলেই!

thebengalpost.net
দারিদ্র্য অধ্যুষিত বুড়িশোল গ্রামের ছবি (ফাইল ছবি, এই ছবিতে পিয়াসা বা তার পরিবারের কেউ নেই, প্রতীকী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে) :

thebengalpost.net
বুড়িশোল প্রাথমিক বিদ্যালয় (ফাইল ফটো, নিজস্ব) :

জানা গেছে, সোমবার রাতে মা-বাবার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল বছর তিনেকের পিয়াসা। ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে যায়। তিনজনকেই উদ্ধার করে সকাল সকাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পৌঁছয় শালবনী থানা ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি! ছোট্ট পিয়াসাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার মা সোমা ভূঁইয়া ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। বাবা সোনা ভূঁইয়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, পরে চিকিৎসকেরা সোনা ও তাঁর স্ত্রী সোমা-কে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে। স্থানীয় প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, “এমনিতেই দারিদ্র অধ্যুষিত ও পিছিয়ে পড়া এই গ্রাম। তার উপর এই ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না! পিয়াসা’র দিদি ঝিলিক ভূঁইয়া আমাদের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ওর বাবা-মা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন!” তবে, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এখনও কেন গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যায়নি সরকারের ‘পাকা বাড়ি’!

thebengalpost.net
পিয়াসা’দের ওই বাড়িটি :