দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুলাই: একেই বোধহয় বলে ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’! ছিলোনা মেঘের গুরু গুরু গর্জন। হয়নি তেমন বৃষ্টি। হঠাৎ বজ্রপাত! আর, তাতেই মৃত্যু হল একই ব্লকের তিনজনের। মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে দু’টি ভিন্ন এলাকায় তিনজনের মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে শালবনী ব্লকের যথাক্রমে- বাঁশবান্দি ও হাতিলোট (চিঠাডাঙা) এলাকায়। বাঁশবান্দি এলাকায় মৃত দুই ব্যক্তি হলেন যথাক্রমে- শ্রীমন্ত দোলই (৪৫) ও শঙ্কর মাহাত (৫৯)। তাঁরা যথাক্রমে- বাঁশবান্দি ও বাঁকিবাঁধ এলাকার বাসিন্দা। মাঠে কাজ করার সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ভীমপুর সংলগ্ন হাতিলোঠ (চিঠাডাঙা) গ্রামের মাত্র ১৯ বছরের যুবক অমৃত মাহাত’রও মৃত্যু হয় বাজ পড়ে। মাঠে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছিলেন অমৃত। সেই সময়ই বজ্রাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিনের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শালবনী জুড়ে!

thebengalpost.net
মৃত অমৃত মাহাত (১৯):

পুলিশ সূত্রে জানা, শালবনী থানার অধীন বাঁশবান্দি এলাকায় মাঠে যখন কাজ করছিলেন শ্রীমন্ত, শঙ্কর সহ অনেকেই, সেই সময়ই আকস্মিক বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা কিছুটা দূরে থাকায় রক্ষা পান। এদিকে, শ্রীমন্ত ও শঙ্কর-কে দ্রুত উদ্ধার করে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন! এরপরই, পুলিশ তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। অপরদিকে, মাত্র ১৯ বছরের যুবক অমৃত-কেও দ্রুত উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন! দুটি ঘটনাই দুপুর ১ টা থেকে ২ টোর মধ্যে ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় গোটা শালবনী জুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছে! সেই সঙ্গে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশ দূষণের ফলে বজ্রপাতের হার অনেক বেড়ে গেছে। তাই, সামান্য মেঘ থাকলেও বজ্রপাত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়! প্রতিমুহূর্তে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।