thebengalpost.net
সুপ্রিম কোর্ট:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৩ মার্চ: সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও লাভ হলোনা! রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ‘অবৈধভাবে’ (Fake/Illegally) নিয়োগ পাওয়া ১৯১১ গ্রুপ-ডি বা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বাঁচাতে পারলেন না নিজেদের চাকরি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘চাকরি বাতিল’ এর যে ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার উপর কোনো স্থগিতাদেশ দিলেন না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চেও চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। আর, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার, সুপ্রিম কোর্টেও বহাল থাকল চাকরি বাতিলের নির্দেশ। তবে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ১৯১১ শূন্যপদে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু করেছিল, তার উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করোল।

thebengalpost.net
সুপ্রিম কোর্ট:

ফলে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের ১৯১১টি শূন্যপদে আপাতত নতুন নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। আজ এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করোলের যৌথ বেঞ্চ। তবে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের যে সিদ্ধান্তের কথা শুনিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১৯১১ জন চাকরিপ্রাপকের একাংশ। আদালত মনে করছে হাই কোর্টের নির্দেশে ১৯১১ জনের চাকরি যাওয়ার পর ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ করলে আইনি জটিলতা আরও বাড়বে। তাই, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর। উল্লেখ্য যে, এদিন ‘চাকরি যাওয়া’ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন মুকুল রোহতগি, কোপিল সিব্বলের মতো বাঘা বাঘা আইনজীবীরা! তবে, তাঁদের পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও নিজেদের চাকরি বাঁচাতে পারলেন না ‘ভুয়ো’ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীরা।