দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৯ নভেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্টেই ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি এবং প্রাথমিকের ২৬৯ জন বরখাস্ত শিক্ষকদের মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ। তাঁদের নির্দেশ, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম-কে বিশেষ বেঞ্চ গড়ে দিতে হবে এই মামলাগুলির দ্রুত শুনানির জন্য। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে ‘অর্থবহ’ (Meaningful) রায় শোনাতে হবে জনস্বার্থে। ‘বিতর্কিত’ কয়েক হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি থাকবে নাকি তাঁদের বরখাস্ত করা হবে, তাঁদের পরিবর্তে বঞ্চিতদের নিয়োগ করা হবে কিনা- এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের ওই বিশেষ বেঞ্চ (Special Bench)। হাইকোর্ট খুললেই যে বেঞ্চ তৈরী করে দেবেন প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম।
একইসঙ্গে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ সিবিআই (CBI)-কে এও নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে তার বিস্তারিত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের ওই বিশেষ বেঞ্চে জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখে এবং সব পক্ষের বক্তব্য নিরপেক্ষভাবে বিচার করে কলকাতা হাইকোর্টের ওই বিশেষ বেঞ্চ-কে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ বা পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে, সবটাই জনস্বার্থে বা বৃহত্তর স্বার্থে করতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য যে, এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সিটের প্রধান অশ্বিন সেনভি। তিনি OMR কারচুপির কথা তুলে ধরেন এবং সেই তদন্ত প্রায় শেষের পথে বলে জানান। এরপরই, নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত তদন্ত দু’ মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে, সমস্ত মামলার যথাযথ শুনানির মাধ্যমে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গঠিত বিশেষ বেঞ্চ-কে অর্থবহ রায়দানের পরামর্শ দেন তাঁরা। ততদিন অবধি হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের পদে বহাল থাকবেন বলেও জানান বিচারপতিরা।