তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মে:”আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি নিজের কাছে হেরে গেছি। তাই বিদায় নিচ্ছি।” এমনই মর্মস্পর্শী ‘সুইসাইড নোট’ লিখে চিরতরে বিদায় নিলেন মাত্র ৩২ বছর বয়সের তরতাজা যুবক সঞ্জয় দোলুই। সঞ্জয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল কলেজের (ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়) অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অতি সামান্য বেতনে চুক্তিভিত্তিক বা ক্যাজুয়াল কর্মী হিসেবে কাজ করার সাথে সাথে, সম্প্রতি নিজের একটি স্টেশনারি দোকান-ও খুলেছিলেন। মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর ২ টো নাগাদ নিজের সেই দোকানেই আত্মহত্যা করেন সঞ্জয়। ঘাটাল মহকুমার দাসপুর ২ নং ব্লকের নন্দনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বসন্তপুরের বাসিন্দা সঞ্জয়ের পরিবারে স্ত্রী, বাবা-মা ছাড়াও ৩ বছরের একটি সন্তান আছে। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ দাসপুর থানার চেঁচুয়া বাজারে নিজের দোকান থেকেই সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে দাসপুর থানার পুলিশ। বুধবার তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির জেলা সম্পাদক সঞ্জয়ের মৃত্যু-তে শোকস্তব্ধ শুধু পরিবার-পরিজন, এলাকাবাসী ও সহকর্মীরাই নন, সারা জেলা ও রাজ্যের অস্থায়ী কলেজ কর্মীরা!
পরিবার ও সহকর্মীদের মাধ্যমে জানা গেছে, সঞ্জয় অত্যন্ত পরিশ্রমী, মিশুকে, সৎ ও পরোপকারী যুবক ছিলেন। কলেজের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তবে, এখনও অবধি বেতন বৃদ্ধি হয়নি তাঁদের! তাই, মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই যৎ সামান্য বেতনে সংসার চালানো ক্রমেই দুষ্কর হয়ে পড়ছিল। দাসপুর থানার চেঁচুয়া বাজারে তাই একটি স্টেশনারি দোকান-ও চালাতেন। তার পরেও বর্তমান আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন সঞ্জয়। গত কয়েকদিন ধরে সংসারেও অশান্তি হচ্ছিল বলে জানা গেছে। দিনকয়েক আগে তাই স্ত্রী ও সন্তান-কে শ্বশুরবাড়ি-তে রেখে এসেছিলেন বলেও জানা গেছে। তারপরই এই ঘটনা!
জানা গেছে, সোমবার রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন সঞ্জয়। তারপর, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে খাওয়াদাওয়া-ও করে এসেছিলেন। বাড়ি থেকে ফিরে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই, দিনকয়েক ধরে মানসিক অবসাদে ভোগা সঞ্জয় এই কাণ্ড ঘটান! বিকেল নাগাদ এক খদ্দের তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দোকানে দেখেন। এরপরই, খবর পেয়ে স্থানীয়রা আসেন। খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বুধবার ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ ঘাটাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন সহকর্মীরা। বাড়িতে যান ঘাটাল কলেজের অধ্যক্ষ সহ শিক্ষাকর্মীরা। আসেন অন্যান্য কলেজের অস্থায়ী কর্মীরাও। বৃহস্পতিবার জেলার প্রায় প্রতিটি কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষাকর্মী বৃন্দ সঞ্জয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করেন এবং পরিবারের পাশে সাধ্যমত থাকার অঙ্গীকার করেন।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…