মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ জানুয়ারি: গ্রুপ লীগের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় (University of Mumbai)-কে 7-0 ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বা নক-আউট পর্যায়ে উঠলো বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University)। এদিন, বিদ্যাসাগরের হয়ে গোলগুলি করেন যথাক্রমে- সিঙ্গো মুর্মু (২টি), মমতা মাহাত, তুলসী হেমব্রম, বর্ণালী মাহাত, বর্ণালী কাড়ার এবং মমতা হাঁসদা। উল্লেখ্য যে, মুম্বই দলেই আছেন ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ (U-17) মহিলা বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করা ভূমিকা মানে। এর আগে প্রথম ম্যাচে (৯ জানুয়ারি) লাভলি প্রফেশনাল বিশ্ববিদ্যালয় (Lovely Professional University)-কে 2-0 ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন মমতা, তুলসীরা। তবে, গতকাল (১০ জানুয়ারি) মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Madras)-এর সঙ্গে ম্যাচটি 1-1 গোলে ড্র হয়।
ফলে, গ্রুপ-ডি থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। এই গ্রুপের অপর কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট হল- মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়। বিদায় নিল ভূমিকা মানের মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় এবং লাভলি প্রফেশনাল বিশ্ববিদ্যালয়। অপর ৩-টি গ্রুপ থেকে যে ৬-টি দল (বিশ্ববিদ্যালয়) কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে, সেগুলি হল- হরিয়ানার গুরু JUST বিশ্ববিদ্যালয়, গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আন্নামলাই বিশ্ববিদ্যালয়, গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ানার বংশী লাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেরালার কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্টেডিয়ামে (শহীদ ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি ক্রীড়াঙ্গনে) সকাল ৯-টায় গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীকাল (১২ জানুয়ারি) কোয়ার্টার ফাইনালের আরো একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে এবং বাকি দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মেদিনীপুর শহরের শ্রী অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সেমিফাইনালের ১-টি ম্যাচ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি ক্রীড়াঙ্গনে এবং অপরটি শ্রী অরবিন্দ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সর্বভারতীয় আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ফুটবলের (All India Inter University Women’s Football Tournament) ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্টেডিয়ামে অর্থাৎ শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি ক্রীড়াঙ্গনে শনিবার বেলা সাড়ে ১২-টা নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।