মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ জানুয়ারি: এবারই প্রথম আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ফুটবলের সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা (All India Inter University Women’s Football Tournament) আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University)। আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সর্বভারতীয় এই প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। খেলাগুলি হবে ৯-১৩ জানুয়ারি। আর এর মধ্যেই আরও একটি ‘গর্বের খবর’ এসে পৌঁছল জেলা শহর মেদিনীপুরের উপকন্ঠে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ু ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি (Tamil Nadu Physical Education and Sports University)-তে অনুষ্ঠিত (৪-৭ জানুয়ারি) সর্বভারতীয় আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা (All India Inter University Athletic Championship)-র ‘হাফ ম্যারাথন’ (২১ কিমি) বিভাগে সপ্তম স্থান অধিকার করে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ (Khelo India)-তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অনুপম মাহাত।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) কাকভোরে অনুষ্ঠিত এই হাফ ম্যারাথন (Half Marathon) প্রতিযোগিতায় সফল প্রথম ৮ জন প্রতিযোগী আগামী ১৯-৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা ‘খেলো ইন্ডিয়া’তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে। প্রসঙ্গত, জঙ্গল অধ্যুষিত শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা সংলগ্ন লালেরডিহি গ্রামের যুবক অনুপম বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চন্দ্রকোনা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এর আগে, ভুবনেশ্বরে আয়োজিত জোনাল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলা থেকে একমাত্র প্রতিযোগী হিসেবে সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করে অনুপম। আজ, রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫-টা নাগাদ এই প্রতিযোগিতার ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। সপ্তম স্থান অধিকার করে অনুপম। ২১ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে অনুপমের সময় লাগে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড।
প্রতিযোগিতার পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানাধিকারীর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে যথাক্রমে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট ২৩ সেকেন্ড ও ১ ঘন্টা ১০ মিনিট ২৪ সেকেন্ড। অপরদিকে, প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে অবস্থিত শিবাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। তাদের সময় লাগে যথাক্রমে- ১ ঘন্টা ৭ মিনিট ২৯ সেকেন্ড (প্রথম) এবং ১ ঘন্টা ৮ মিনিট ৮ সেকেন্ড (দ্বিতীয়)। চন্দ্রকোনা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. মনোরঞ্জন গোস্বামী এবং শারীরবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. তীর্থ মণ্ডল জানান, “আমরা গর্বিত! অনুপমের এই সাফল্য শুধু আমাদের কলেজ বা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়কেই নয়, সারা বাংলাকেও গর্বিত করেছে। কারণ, বাংলা থেকে একমাত্র ওই সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিল।” এদিকে, চরম ব্যস্ততার মধ্যেও এই খুশির খবরে উচ্ছ্বসিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। রেজিস্ট্রার ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী জানিয়েছেন, “অত্যন্ত খুশির খবর। আমার সঙ্গে যদিও এখনও ওর কথা হয়নি। তবে, অনুপমের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। পরবর্তী পর্যায়ের জন্যও ওকে শুভেচ্ছা জানাই।”