দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৫ জুলাই: বিমানবন্দরে ‘ওয়াটার স্যালুট’ দিয়ে শুরু। মেরিন ড্রাইভে বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে হুডখোলা গাড়িতে করে হাজার হাজার ক্রিকেট-ভক্তদের অভিবাদন গ্রহণ করে, ‘ঐতিহাসিক’ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্মৃতির সাগরে ভেসে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্বজয়ীদের জয় উদযাপন তথা সংবর্ধনার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। তার আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে ‘১৭ বছর’ পর জেতা কাপ তুলে দেওয়ার ‘গৌরব’ অর্জন করেন টিম-ইন্ডিয়ার বিশ্বজয়ী সৈনিকরা। প্রসঙ্গত, ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভে ভিড় জমাতে শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ। দুপুর থেকেই মুম্বইয়ের রাজপথের দখল নেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিকেলের পর থেকেই মেরিন ড্রাইভ উত্তাল জনসমুদ্রের গর্জনে ভাসতে থাকে। তার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যায় বিশ্বজয়ীদের হুড খোলা গাড়ি।
২০১১ সালে একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জেতা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে (Wankhede Stadium) মাইক হাতে স্মৃতির সাগরে ডুব দেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ তথা টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। বিরাট বলেন, “২০১১ সালে এই মাঠে যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, খুব আনন্দ হয়েছিল। তখন আমার বয়স ২১ কী ২২। তখন দলের সিনিয়রদের চোখে জল দেখেছিলাম। তাঁদের কান্নার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি! মনে আছে শচীন তেন্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলাম আমরা। সেই সময় মনে হয়েছিল, আমরা তো সহজেই বিশ্বকাপ জিতলাম! এ বার উপলব্ধি করলাম, একটা বিশ্বকাপ জেতা কত কঠিন। নিজে কেঁদে বুঝলাম, ২০১১ সালে সিনিয়রেরা কেন কেঁদেছিল!” অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন বিরাট। বলেন, “আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখন রোহিত আমার দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার ছিল। এখন ও অধিনায়ক। আমি দলের অন্যতম সিনিয়র। ও যেমন আমাকে সাহায্য করত, আমিও তেমনই চেষ্টা করি। আমরা সব সময় স্বপ্ন দেখেছি দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়ার। না পারলেও চেষ্টা থামাইনি। এই যে দলটা দেখছেন, দুর্দান্ত একটা দল। এরা ভারতীয় ক্রিকেটের পতাকা উঁচুতে ধরে রাখতে পারবে। আরও সাফল্য এনে দেবে।”
টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ের (T20 World Cup Champion) অন্যতম কারিগর তথা প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট যশপ্রীত বুমরা সম্পর্কে কিং-কোহলি বলেন, “শেষ পাঁচ ওভারের দু’টি ওভারেই ম্যাচটা আমাদের দিকে নিয়ে এসেছিল! এক জন আছে আমাদের। দুর্দান্ত দু’টি ওভার করেছিল। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। হ্যাঁ, যশপ্রীত বুমরা। একটা প্রজন্মে এমন বোলার এক জনই আসে। আমরা ওকে পেয়েছি। এই সাফল্যে ওর অবদানের কথা উল্লেখ করতেই হবে।” অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বলেন, “এই বিশ্বকাপ গোটা দেশবাসীর।” বার বার মনে করান, সূর্যকুমারের (SKY) অনবদ্য ক্যাচ আর হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)-র দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কথাও। কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) স্মরণ করেন ২০২৩ সালের একদিবসীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ (World Cup 2023) অধরা থেকে যাওয়ার কথা। বলেন, “খুব ভালো খেলেও আমরা ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। তারপর ভেবেছিলাম, আর কোচ থাকব কিনা! সেই সময় রোহিতের একটা ফোনই আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছিল। ও বলেছিল, সামনেই আছে টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ। সেটা আমরা অবশ্যই জিতব!” প্রকৃতির বৃষ্টি ছাপিয়ে, সবার চোখেই তখন খুশির অশ্রুধারা। আর, আকাশে-বাতাসে ‘বন্দেমাতরম…’ গান!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…