দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জানুয়ারি: আইএফএ (IFA)’র মহিলা ফুটবল লীগ (কন্যাশ্রী কাপ) এ সর্বাধিক গোল করলেন জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর বাসিন্দা সুজাতা মাহাতো। শালবনী জাগরণ ফুটবল একাডেমীর ছাত্রী সুজাতা মাহাতো ( কন্যাশ্রী কাপে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ দলের হয়ে খেলে) ২৩টি গোল করে জিতে নিয়েছেন ‘গোল্ডেন বুট’ (Golden Boot) পুরস্কার। শনিবার সন্ধ্যায় ফাইনাল ম্যাচের পর তাঁর হাতে এই ‘গোল্ডেন বুট’ তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য স্তরের এই কন্যাশ্রী কাপে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১ জন জন মহিলা ফুটবলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মধ্যে শালবনী জাগরণের ৬ জন মহিলা ফুটবলার ছিলেন।
শনিবার কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবকে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে। একমাত্র গোলটি করেছিলেন ম্যাচের সেরা এবং ইমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট সুলঞ্জনা রাউল। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন সুরুচি সংঘের সুজাতা মাহাতো। তাঁর দল যদিও সেমিফাইনালে পরাজিত হয়েছিল। অপরদিকে, চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল এফসি দলের প্রথম একাদশে ছিলেন শালবনী জাগরণের আরেক ‘রত্ন’ মৌসুমী মুর্মু। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, মৌসুমী’র দাদা সুব্রত মুর্মু ইতিমধ্যে বাংলা তথা ভারতের এক উল্লেখযোগ্য ফুটবলার হিসেবে দেশ-বিদেশে খেলে বেড়াচ্ছেন। এদিকে, শালবনী ব্লকের মীরগা’র বাসিন্দা সুজাতা’ও উঠে এসেছেন এক দরিদ্র পরিবার থেকে। তাঁরও স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে খেলা। রবিবার শালবনীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে ‘জয় জোহার’ কাপে খেলার মাঝেই সুজাতা জানিয়েছেন, “আমার এতদূর অবধি পৌঁছনোর জন্য শালবনী জাগরণ ফুটবল অ্যাকাডেমির অবদান অনস্বীকার্য। পরবর্তী লক্ষ্য বাংলা ও জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা।” শালবনী জাগরণের অন্যতম কর্মকর্তা তথা মেদিনীপুর সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, “সুজাতা শালবনী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের গর্ব। ওর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।”