মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ ডিসেম্বর: আইএফএ (Indian Football Association) পরিচালিত কলকাতা মহিলা ফুটবল লীগে (কন্যাশ্রী কাপে) মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের এক মেয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর তর্জুনা’র বাঁশিতেই কাঁপছে কলকাতার ড. বি.আর আম্বেদকর স্টেডিয়াম কিংবা কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গন! তবে, বছর ২২-র এই মহিলা রেফারির ‘উত্থান’ যে ছোটোখাটো সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে, তা বলাই বাহুল্য!
ইতিমধ্যে ‘কন্যাশ্রী কাপ’ এর ৩-টি ম্যাচে সাফল্যের সঙ্গে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছে শালবনী ব্লকের শালবনীর বাসিন্দা তথা শালবনী থানার সিভিক ভলান্টিয়ার (মহিলা) তর্জুনা মণ্ডল। তর্জুনা’র সাফল্যের কাহিনী শোনাতে গিয়ে শালবনী জাগরণের সম্পাদক তথা মেদিনীপুর সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ফিরে যান সেই ২০১২-১৩ সালে। সোমবার সকালে শালবনীর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সন্দীপ বলেন, “অভাব আর সমাজের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই প্রথমবার মাঠে আসে তর্জুনা। আসে বলবোনা, প্রথম প্রথম ওর বাবা-মা’কে বুঝিয়ে আমাদেরকেই মাঠে নিয়ে আসতে হত। তখন ও ক্লাস সিক্স বা সেভেনে পড়ে। তারপর ধাপে ধাপে ‘শালবনী জাগরণ ফুটবল অ্যাকাডেমি’-র নির্ভরযোগ্য ফুটবলার হয়ে ওঠে ও। আর, এখন শুধু শালবনী নয়, জেলা ও রাজ্যের গর্ব তর্জুনা। শুধু তর্জুনা নয়; সুব্রত (সুব্রত মুর্মু), মৌসুমী (মৌসুমী মুর্মু), সুজাতা (সুজাতা মাহাত)-রা আজ যেভাবে জেলার গন্ডী অতিক্রম করে সারা রাজ্যে ও দেশে দাপিয়ে ফুটবল খেলছে, জাগরণের একজন কর্মকর্তা হিসেবে গর্ব হয় বৈকি!”
সন্দীপ এও জানান, ২০১৬-‘১৭ ও ২০১৮-‘১৯ এ ‘জঙ্গলমহল কাপ’ এর মহিলা বিভাগের (ফুটবল) চ্যাম্পিয়ন দল জাগরণ ফুটবল অ্যাকাডেমির ‘গর্বিত’ সদস্যাও ছিল তর্জুনা। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হিসেবেই ২০১৯ সালে শালবনী থানায় সিভিক পুলিশের চাকরি পায় তর্জুনা। রাজ্যস্তরের টুর্নামেন্টেও ডাক পায় তর্জুনা। তারপরই ধীরে ধীরে পারিবারিক অবস্থারও উন্নতি হয়। এর মধ্যেই কলকাতায় গিয়ে রেফারিং এর উপর প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে সে। এবার, কলকাতা মহিলা ফুটবল লীগে রেফারি হিসেবে সুযোগ মিলেছে। দক্ষতার সাথে নিজের দায়িত্ব পালনও করে চলেছে ‘জঙ্গল-কন্যা’ তর্জুনা। তবে, তর্জুনা ভোলেনি ‘জাগরণ’ থেকে লড়াইয়ের সেই দিনগুলি। কলকাতা থেকে ফোনে জানায়, “একটা সময় জুতো, জার্সি কিছুই ছিলোনা। বাইরে খেলতে যাওয়ার ভাড়াটুকুও ছিল না। সবটাই দিয়েছে আমাদের অ্যাকাডেমি। তাই, শালবনী জাগরণ অ্যাকাডেমি না থাকলে এতদূর আসতে পারতাম না!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…