দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ মার্চ: প্রতিযোগিতায় নামার আগের দিনই পায়ে ঢুকে গিয়েছিল পেরেক। তাতেও দমিয়ে রাখা যায়নি ছোট্ট বৃষ্টিকে! যন্ত্রণা নিয়েই প্রাথমিকের ৪০তম রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার লং জাম্প (বালিকা) বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করে পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘গর্ব’ বৃষ্টি সিং। বৃষ্টি কেশিয়াড়ি ব্লকের সাঁতরাপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর (বর্তমানে, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্তই প্রাথমিকে পড়ানো হয়) ছাত্রী। বিগত দু’বছরের রাজ্য ক্রীড়াতে লং জাম্প বিভাগে ‘চ্যাম্পিয়ন’ (প্রথম) হয়েছিল বৃষ্টি। ছোট্ট এই দুর্ঘটনা না ঘটলে এবারও বৃষ্টি প্রথম স্থানই অধিকার করত! এমনটাই বলছেন তাঁর স্কুল ও চক্রের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বাবা বাবলু সিং সামান্য দিনমজুর। অভাবের সংসারে বড় হচ্ছে বৃষ্টি। সরকারি সহায়তা পেলে বৃষ্টি আরো অনেকদূর এগোবে বলে আশাবাদী পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষক অখিলবন্ধু মহাপাত্র, বিপ্লব মাজি, মান্তু মাইতিরা।
অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে অনুষ্ঠিত (২৮ ফেব্রুয়ারি-১ মার্চ) ৪০তম রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এবার ‘যোগা’ (বালিকা) বিভাগে ‘চ্যাম্পিয়ন’ (প্রথম) হয়েছে ঘাটালের কলাইকুন্ডু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী প্রেয়সী ঘাঁটা। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (DPSC-র) তরফে প্রেয়সী, বৃষ্টি সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৭ সফল ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডিআই (প্রাথমিক) প্রাণতোষ মাইতি, ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অনিমেষ দে, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র প্রমুখ। প্রেয়সী ও বৃষ্টি ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা রাজ্য ক্রীড়ায় সফল হয়ে জেলাকে গর্বিত করেছে, তারা হল- অর্ণব দাস (গোমোকপোতা মধ্যপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়); তনুজা মাইতি (ডিহাল নহোলা চাঁইপাট প্রাথমিক বিদ্যালয়); রাজদীপ মুদি (ডুবগোহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়); রনিত মণ্ডল (তেলিপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়) এবং অদ্রিতা মাইতি (এরাল বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়)। এদিন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে অন্যান্য উপহারের সাথেই সফল সাত শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় রাজ্য ক্রীড়ার পুরস্কার হাতে তাদেরই একটি করে ফ্রেমবন্দী ছবি। বিশেষ এই উপহার পেয়ে আপ্লুত বৃষ্টি, প্রেয়সী, তনুজারা। বৃষ্টি বলে, “আমি লং জাম্প আর ২০০ মিটার দৌড়ে ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে অংশ নিয়েছিলাম রাজ্য ক্রীড়াতে। আগামীদিনে আরও ভাল ফল করতে চাই।”
যোগা বা যোগ আসনে রাজ্যের মধ্যে প্রথম অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রেয়সী। তাঁর বাবা, পেশায় চিকিৎসক সুদীপ ঘাঁটা ও মা সুপ্রিয়া ঘাঁটা সোমবার উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, “৭ বছর বয়স থেকেই ও যোগাসন শিখছে প্রশিক্ষক বাপন মান্না ও তাঁর স্ত্রী বাসন্তী মান্নার কাছে। আজ ওর এই সাফল্যের পেছনে ওঁদের অবদান অপরিসীম। ভবিষ্যতেও যোগাকে সঙ্গী করে ও আরও এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের প্রার্থনা।” ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান অনিমেষ দে বলেন, “এঁরা আজ জেলার নাম উজ্জ্বল করবে, ভবিষ্যতে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।” রাজ্য ক্রীড়া সফলভাবে আয়োজনের জন্য জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র। ডিআই প্রাণতোষ মাইতি বলেন, “এবারের ‘সপ্তর্ষিমন্ডল’ (সফল ৭ কচিকাঁচা), আগামী বছর ‘নবগ্রহ’ হবে, এটাই আমাদের সকলের আশা।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ মার্চ: সোমবার (১৭ মার্চ) মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ মার্চ: সুবিশাল ড্যাম তৈরি না করেই এবং টারবাইন…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ মার্চ: বসন্তেই গ্রীষ্মের দাবদাহ পশ্চিম মেদিনীপুরে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ মার্চ: কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-র মতো একাধিক প্রকল্পের পরও 'বাল্যবিবাহ'…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মার্চ: মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাবালিকার একটি…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মার্চ: নারী দিবসের তিন দিন পরই নতুন বাবা-মা'র…