দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, সায়ক পণ্ডা, ২৯ নভেম্বর: শীলাবতী নদীর তীরে শীতের রবিবারের এক পড়ন্ত বিকেল। ঠান্ডা হাওয়ার শিরশিরানিতে দিন শেষের ওই সময়টুকুতে চারিদিকে যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা! পাশাপাশি, সপ্তাহের একটামাত্র ছুটির দিনে শহরটা একটু বেশিই নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল রবিবার। তবে, সন্ধ্যে নামার সাথে সাথেই সমস্ত নিস্তব্ধতাকে দূর করে বন্ধুপ্রীতির এক অদ্ভুত নিদর্শনের সাক্ষী থাকলো ঘাটাল!
এই মাসের গত ২১ তারিখ, রবিবার, আর পাঁচটা দিনের মতো দিন শুরু হলেও হঠাৎ তাল কাটে দিনের মধ্যভাগে। ঠাকুমাকে দাহ করে নদীতে স্নান করতে নেমে শীলাবতীর জলে তলিয়ে যায় ঘাটালের উদীয়মান শিল্পী তথা বছর চব্বিশের যুবক জয় নারায়ণ দে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তার দেহ উদ্ধার করা হলেও ততক্ষণে সব শেষ! উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় এই তরুণ শিল্পীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারেননি কেউই! সেদিনের এই দুর্ঘটনায় কেবল জয়ই হারিয়ে যায়নি সাথে সলিল সমাধি ঘটে এক শিল্পীর হাজার হাজার স্বপ্নেরও।
তাই, জয়ের স্মৃতি এবং জয়কে মনে রেখেই তার অকাল প্রয়াণে রবিবার বিকেলে ঘাটাল কো- অপারেটিভ পিপলস ব্যাঙ্কের বিপরীতে শিলাবতীর তীরে শোকজ্ঞাপন করল তার বন্ধু-বান্ধবরা। তবে, শুধু বন্ধুরাই নয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়ের পরিবারের সদস্য সহ এলাকার গুণীজনেরা। নবীন এই শিল্পীর একাধিক কাজের পাশাপাশি, তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সেখানে উপস্থিত সকলেই। এই প্রসঙ্গে ঘাটালের বিশিষ্ট বর্ষীয়ান আইনজীবী দেবপ্রসাদ পাঠক ব্যানার্জী বলেন যে, “জয়ের এই মৃত্যু আমি এখনও মানতে পারছিনা। তরতাজা আর সদাহাস্যময় ওই ছেলেটা নেই তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। বহু স্বপ্ন নিয়েই ছেলেটা অকালে চলে গেল।”
এদিকে, প্রিয় ছাত্রের মৃত্যুকে কিছুতেই মানতে পারছেননা ঘাটালের বিশিষ্ট শিল্পী মিলন কুইলাও। চোখে জল নিয়েই তিনি জানালেন, “আমাকে ‘দাদা’ বলে ডাকতো জয়। নতুন কিছু করলেই সবার আগে আসতো আমার কাছে। উজ্জ্বল ভবিষ্যত ছিল ওর। কিন্তু, হঠাৎ ও সবাইকে ছেড়ে বহুদূরে চলে গেল….”। ছোট থেকেই জয়কে খুব কাছে থেকে দেখেছেন শহরের এক আবৃত্তিকার তথা সঙ্গীত অনুরাগী রিয়া চক্রবর্তী। জয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গলা ধরে এলো তাঁরও। এক অদ্ভুত শূণ্যতা গ্রাস করেছিল সেখানে উপস্থিত সকলকেই। বারেবারে সেই সন্ধ্যায় যেন সকলের কানে বাজছিল রবীন্দ্রনাথের সেই লাইন “সত্য যে কঠিন”! প্রিয় বন্ধুর অকাল মৃত্যুর কঠিন সত্যিকে কখনই মেনে নিতে পারছেনা রোহন-অঙ্কুর-সৌম্যকান্তি সহ সকলেই।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…