সুদীপ কুমার খাঁড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ মে:”ওরা বীর, ওরা আকাশে জাগাত ঝড়/ ওদের কাহিনী বিদেশীর খুনে/ গুলি, বন্দুক, বোমার আগুনে আজো রোমাঞ্চকর।” ‘কিশোর কবি’ সুকান্তের এই কবিতা নিঃসন্দেহে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে। তবে, বছরের পর বছর ধরে অর্জিত সেই স্বাধীনতা যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রক্ষা করে চলেছেন, তাঁদের ‘বীরত্ব’ই বা কম কিসে! তাঁরাও দেশবাসীর কাছে ‘বীর’, বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা জীবন্ত বর্ম। তাই, এদেশ, এই মাটি তাঁদের সম্মান দিতে জানে। আর, যে মাটি হয় ক্ষুদিরাম-মাতঙ্গিনী-দীনেশ-প্রদ্যোৎ-বিমল-ব্রজ- দের, সেখানে যে বীর আর বীরত্বের মর্যাদা এক অনন্য আকাশে অধিষ্ঠিত হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! ২১ বছর দেশের সেবায় নিয়োজিত থেকে সদ্য অবসর নেওয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের সেনাকর্মী রঙ্গন দাস-তাই ঘরের মাটি ছুঁয়েই পেলেন বীরের সম্মান। মঙ্গলবার বেলদা স্টেশনে নামার পরই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকে অভ্যর্থনা জানালেন তাঁরই বন্ধুবান্ধব, এলাকাবাসী এবং পরিবারের সদস্যবৃন্দ। আপ্লুত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদ্য প্রাক্তন সেনাকর্মী রঙ্গন দাস।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত খাকুড়দার দীঘা গ্রামের বাসিন্দা রঙ্গন দাস। ২০০১ সালের ১৭ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশের ভূপালে ‘থ্রি এম ই সেন্টার’ এ ভারতীয় সেনাতে যোগদান করার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২১ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে তিনি তাঁর কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ব্যাঙ্গালোরের ‘ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি ম্যানেজম্যান্ট’ থেকে ফায়ার ম্যানেজম্যান্ট এর ডিপ্লোমা করেছেন। কর্মক্ষেত্রে তাঁর কর্মদক্ষতার যথেষ্ট প্রশংশা করা হয়েছে বাহিনী’র পক্ষ থেকে। গত ২৯ এপ্রিল (২০২২), ই এম ই রেকর্ড সেকেন্দ্রাবাদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ নাগাদ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ইস্টকোস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে বেলদা স্টেশনে নামেন বছর ৪৫ এর রঙ্গন।
তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন তাঁর সহপাঠী নরসিংহ দাস, জগবন্ধু দাস, সুমন চক্রবর্তী, অনুকুল জানা, চিন্ময় পাল, রাধা বিনোদ পন্ডিত সহ স্থানীয় কয়েকজন এবং পরিবারের সদস্যবৃন্দ। সহপাঠী শিক্ষক নরসিংহ দাস বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকেই রঙ্গনের খেলাধুলার প্রতি দুর্বলতা ছিল এবং ও খুবই দায়িত্ববান ব্যক্তি। এমন এক বন্ধুর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান আমাদের কাছে গর্বের। তাঁর অবসর জীবন সুখময় হোক।” রঙ্গন জানান, নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শেষ করার পর, আগামী দিনে যদি অবসরপ্রাপ্ত সেনা হিসেবে কোনো কাজের সুযোগ পান, তবে তিনি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। দীর্ঘদিন পরে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে আসার জন্য, তাঁকে কাছে পেয়ে খুশি পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ। বিশেষত, তাঁর ছেলে ও মেয়ে। গ্রামবাসীরাও বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…