দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি: ভোট আসে ভোট যায়! আর, ভোট আসে বলেই নেতাদের দেখা মেলে। নাহলে, সারাবছর কেউ ওদের খোঁজ নেয়না। ওরা মেদিনীপুর পৌরসভার ৪ নং (চার নং) ওয়ার্ডের বামুনপাড়া (Medinipur Municipality)’র বাসিন্দা। নাম বামুনপাড়া হলেও, এই এলাকার প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই দু’একজন করে কুষ্ঠরোগী রয়েছেন! তাই, এলাকাটি কুষ্ঠ কলোনী নামেই পরিচিত। চরম দারিদ্র্য আর অসুস্থতার জন্য, ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভর করেই সংসার চালান এই এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা। এমনকি, রেশন কার্ড না থাকায়, বিনামূল্যে রেশনটুকুও পান না অনেকেই। বাড়ি থেকে অনেকদূরে জলের কল। ঘর বলতে বাঁশ আর ত্রিপল দিয়ে ঘেরা মাথা গোঁজার একটু স্থান! এমনই ‘নেই রাজ্য’ অবস্থান করছে জেলা শহর মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়ার কাছেই। বাসিন্দাদের কেউ বলছেন, “ভোট দিয়ে কি হবে, সারাবছর আমাদের কেউ দেখেনা”, কেউ আবার বলছেন, “আমাদের যে বাড়ি করে দেবে, তাকেই ভোট দেবো।”
নানা সমস্যায় জর্জরিত এই এলাকার মানুষজন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে সঙ্গে নিয়ে এবং অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটে তাঁদের। ভিক্ষা করা ছাড়া কজের সুযোগ নেই! নেই সামান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা। অথচ, ওঁরাও প্রতিবছর ভোট দেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন। আর, সারা বছর ধরে সেই জনপ্রতিনিধিরা ওঁদের ভুলে যান। মনে অবশ্য পড়ে! শুধু ভোটের সময়। এলাকা জুড়ে শোভা পাচ্ছে, জোড়া ফুল, পদ্মফুল আর কাস্তে হাতুড়ির পতাকা আর পোস্টার! ভোট চাইতে আসছেন সব দলের জনপ্রতিনিধিরাই। কিন্তু, শহর মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়ার একপ্রান্তে অবস্থিত বামুনপাড়ার এই ৪৫ থেকে ৫০-টি পরিবার এবার যারপরনাই ক্ষুব্ধ! শর্মা সান্তা নামে এই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রেশন কার্ড নেই। বহুবার আবেদন করা হলেও সমস্যা মেটেনি। তাই ভিক্ষা করে দিন কাটাতে হয়। আমাদের হাতে-পায়ের তেমন জোর নেই৷ জলের কল বহুদূরে। সেখান থেকে জল আনতে কষ্ট হয়৷ আমাদের সমস্যা না মিটলে ভোট দিতে যাব না।” প্রবীণা অমিতা রাণা বলেন, “কিচ্ছু পাইনি আমরা, কিচ্ছু না! ঘরদোর নেই, ভিক্ষা করে দিন চলে। যে আমাদের ঘর করে দেবে, তাকেই ভোট দেব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…